সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

Tarapith Temple: উত্তরমুখী মা তারাকে আ’জ পশ্চিম মু’খে বসানো হয়, জানুন মায়ের রোমহর্ষক কা’হি’নী

আজ তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস। এই বিশেষ দিনে তারাপীঠে শুরু হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের ভিড়। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা, সাধারণভাবে তারা মা উত্তরমুখী হলেও এই দিন তাকে বসানো হয় পশ্চিম দিকে মুখ করে। আশ্বিনের শুক্ল চতুর্দশীর দিন অর্থাৎ কোজাগরী পূর্ণিমা ঠিক আগের দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমুল গাছের নিচে দেবীর শিলা মুর্তি পেয়েছিলেন মহামুনি বশিষ্ঠ।

পরে কালের গর্ভে সেই মূর্তি তলিয়ে যায় মাটির নিচে। পরবর্তী সময়ে পাল রাজাদের আমলে জয়দত্ত সওদাগর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে দেবীর শিলা মুর্তি উদ্ধার করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মন্দিরে। পরে এই মন্দির আরো একবার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাটোরের রানী।

প্রতিবছর সূর্যোদয়ের আগে এই দিন ঠিক ভোর তিনটে নাগাদ মন্দিরের গর্ভগৃহে থেকে মায়ের বিগ্রহ বের করে আনা হয়। মা মৌলিখার মন্দির অভিমুখে পশ্চিম দিকে বসানো হয় মা তারাকে। জীবিত কুন্ডু থেকে জলে স্নান করানো হয় মাকে,পড়ানো হয় রাজবেশ।

এরপর শুরু হয় আরতী পর্ব। সারাদিন বিরাম মঞ্চে থাকার পর বিকেলে মাকে ফিরিয়ে আনা হয় মূল মন্দিরে। স্নানের পর নবরুপে সাজানো হয় দেবী মূর্তি কে। আজ মা তারার উপোসের দিন,তাই এই দিন মায়ের মধ্যাহ্নভোজ হয় না। দিনভর মা মিষ্টি এবং ফলাহার করেন।

সকালে মঙ্গল আরতির পর দেওয়া হয় লুচি-মিষ্টি এবং সুজি দিয়ে শীতলভোগ। রাতে নিবেদন করা হয় খিচুড়ি, পোলাও পাঁচ রকম ভাজা, মাছ এবং মাংস। মা যেহেতু সারাদিন অভুক্ত থাকেন, তাই প্রসাদ নিবেদন করা হয় না এই দিন। প্রসাদ নিবেদন না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের সমস্ত সেবায়েত পুরোহিতরা অভুক্ত থাকেন।

উল্লেখ্য, মায়ের আবির্ভাব দিবসের আগের দিন অর্থাৎ ত্রয়োদশী তে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হালখাতা করার নীতি আছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এই দিন হালখাতা না করলে সারা বছর মায়ের কৃপা পাওয়া যায় না।