সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অবাক করা ঘ’ট’না, মাত্র ৪৯৫ টা’কা’য় এই দুই শহরে পা’ও’য়া যা’চ্ছে “সোনার ইট”!

সম্প্রতি যেকোনো খাবারেই Silver foil এর পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে Gold edible foil-ও। শুধু খাবার কেন!! তার পাশাপাশি Gold foil এর ব্যবহার শুরু হয়েছে বিভিন্ন ড্রিংকস- এও। কেউ কেউ এই সোনার রাংতা দিয়েই নানান স্বাদের রান্না করে চলছেন,যা রেকর্ড গড়ছে। সেই বিশ্বরেকর্ডের তালিকাভুক্ত হয়ে গিয়েছে গুরুগ্রাম ও লখনউয়ের মতো শহরও। ব্যাপারটা কি!!

১৯২০ সালের গোল্ড স্মাগলিং এর খবর সম্বন্ধে মোটামুটি ভাবে অনেকেই অবগত। গোল্ড স্মাগলিং সহ মদের নেশার আসর হিসাবে Distillery র নাম উল্লেখযোগ্য। কারণ ওই রেস্তোরাঁ-বারে মিলছে অবিকল ৯৯৯.৯ ফাইন সোনার ইটের মতো দেখতে ডেসার্ট, যা অভিনবত্বের পাশাপাশি কিছুটা নস্টালজিক অনুভূতি জাগিয়ে তোলে । রেস্তোরাঁ-বারের প্রধান শেফ আনস কুরেশির মতে, ‘এটি আসলে ম্যাঙ্গো চিজকেক। তাতে কোট দেওয়ার উপর ২৪ ক্যারাট এডিবল সোনার মড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। গোটা কেকটা আসলে চকোলেট ব্রাউনি কেক।’

কী জানতে ইচ্ছা করছে তো কী কী রয়েছে এই জিভে জল আনা ডেসার্টে! ম্যাঙ্গো পিউরি, এডিবল গোল্ড, ফিলাডেলফিয়া ক্রিম চিজ, চিনি ও হেভি ক্রিম। শেফ আনসের কথায়, ‘সবচেয়ে আধুনিক ও কৌতূহলের অংশ হল গোল্ড ব্রিকের মোল্ড। এই ডিশটি তৈরি করতে ও ঠান্ডা করতে সময় লাগে মাত্র ৩০-৪৫ মিনিট। চিজকেক তৈরি করার সময়েই এই সোনার ইটের আদলে কেক তৈরি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। সঠিক মাপের মোল্ডে কেকের ঘনত্ব ও প্রতিটি কোণের মাত্রাও সঠিক থাকে। মোট ৩০দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কেকটির একটি পূর্ণাঙ্গ আকার দেওয়া গিয়েছে। তবে এই অসাধারণ স্বাদের চিজকেকের জন্য আমি রেগুলার কুকি বা বিস্কুটের ক্রাস্ট ব্যবহার করিনি।’

গুরুগ্রাম ও লখনউ – এই দুটি শহরের Distillery রেস্তোরাঁয় এই সুস্বাদু ডেসার্টটি পাওয়া যাবে। যার দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৪৯৫ টাকা। এটি পরিবেশনের পদ্ধতিটিও নজর কাড়ার মতো।একটি কাঠের প্লেটে খড়ের বাসার মধ্যে এই সোনার ইটটি সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করা হবে। এখন সোনার যা আকাশছোঁয়া দাম তাতে সোনা না কিনতে পারলেও সোনার ইট খাওয়ার জন্য এই সামান্য টাকা তো খরচ করা যেতেই পারে।