সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অদ্ভুত দেশ উত্তর কোরিয়া! চুল-চশমা-জিন্সের সা’জে আছে বি’শে’ষ বি’শে’ষ নি’ষে’ধা’জ্ঞা, জানুন কারণ

সারা বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে যেখানকার রক্ষণশীল শাসনব্যবস্থায় অনেক পোশাককেই নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়। এর কারণ বলতে মনে করা হয় ওই পোশাকগুলি দেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী। এইরকম ভাববে উত্তর কোরিয়াতেও অনেক ধরনের পোশাক পরা নিষিদ্ধ। যদিও তার কারণগুলোও আলাদা আলাদা। পোশাকের পাশাপাশি অনেক ধরনের সাজও নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়াতে। দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকায় কি কি রয়েছে।

আঁটো জিন্স: এটি দেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী। একেবারেই পশ্চিমী সংস্কৃতির অঙ্গ এই ধরনের পোশাক। তাই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং এই ধরনের প্যান্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

ছেঁড়া জিন্স: আঁটো জিন্সের মতো নিষিদ্ধ ছেঁড়া জিন্স। কারণও সেই এক। এটি পশ্চিমের সংস্কৃতির অঙ্গ।

নামজাদা কোম্পানির টিশার্ট: নামজাদা টিশার্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির অনেকগুলিই ইউরোপ এবং আমেরিকার। সেই সব কোম্পানির টিশার্ট বাদ। তবে দেশে তৈরি টিশার্ট পরা যেতে পারে।

অবিবাবিত মেয়েদের বড় চুল: বিয়ে হয়নি? তা হলে বড় চুল রাখা যাবে না। মেয়েদের জন্য এমন নিয়ম উত্তর কোরিয়ায়।

চুলে রং: ২৮ রকমের চুলের কায়দা বলা আছে দেশের নিয়মে। তার মধ্যে থেকেই পুরুষদের যে কোনও একটি বাছতে হয়। এর বাইরে নতুন কোনও রকমের কায়দায় চুল কাটা যায় না। রং তো মোটেই নয়।

ফুটো করানো: নাক বা ঠোঁট ফুটো করানো একেবারে নিষিদ্ধ। খুব বেশি হলে কানে ফুটো করানো যেতে পারে। তাও একটির বেশি নয়।

চশমা: যে কোনও চশমার উপর নিষেধাজ্ঞা নেই বটে, তবে সেই চশমার সঙ্গে যেন কিম জংয়ের চশমার কোনও মিল না থাকে। বিশেষ করে রঙে।

চামড়ার ট্রেঞ্চ কোট: এই বিশেষ ধরনের কোট পরেন খোদ কিম জং নিজে। ফলে দেশের আরও কারও এই ধরনের কোট পরার অধিকার নেই।

মাও জে দংয়ের মতো স্যুট: এই ধরনের স্যুট পরেন কিম জং। তাই দেশের বাকি কারও এই স্যুট পরার অনুমতি নেই।