জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কোন জাতকের কুষ্টিতে যদি দুটি গ্রহ একসঙ্গে থাকে তাহলে তার প্রভাব শুভ অথবা অশুভ দুটোই হতে পারে। এই যোগ সেই ব্যক্তিজীবনকে বহুদিন প্রভাবিত করতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সূর্যের একটি অশুভ যোগ আছে। অনেক সময় কুষ্টিতে ও সূর্যগ্রহণ দোষ থাকে। রাহু এবং কেতুর কারণে যে এভাবে সূর্যগ্রহণ তৈরি হয়, ঠিক সেইভাবেই কুষ্টিতে সূর্যগ্রহণ দোষের সৃষ্টি হতে পারে। তবে কি দোষ নিবারণের উপায় রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সূর্যগ্রহণ সৃষ্টি এবং অশুভ প্রভাব নিবারণ করা যাবে।
রাহু কেতু সঙ্গে সূর্যের বৈরিতার সম্পর্ক রয়েছে। যে স্থানে রাহু এবং সূর্য একই সঙ্গে থাকে, সেখানে সূর্যগ্রহণ দোষ সৃষ্টি হতে পারে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কোন জাতকের কোষ্ঠী র কোন কক্ষে সূর্যের সঙ্গে যদি রাহু বিরাজ করে, তাহলে সূর্যগ্রহণ দোস সৃষ্টি হতে পারে। যে ব্যক্তির কোষ্ঠীতে এই দোষ থাকে, তার পিতৃ দোষ থাকবে। কোন জাতকের কোষ্ঠীতে শুক্র, বোধ অথবা রাহু একসঙ্গে দ্বিতীয়, পঞ্চম, নবম অথবা দ্বাদশ স্থানে থাকলে পিতৃ দোষ।সৃষ্টি হতে পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, সূর্যগ্রহণ সৃষ্টি হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই দোষ থাকলে বাবার সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। পাশাপাশি বাবার স্বাস্থ্যের ওপর প্রতিকূল প্রভাব পড়ে।
সূর্যগ্রহণ রোগের কারণে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে।
মান সম্মান এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায়। রাগ হতে পারে বেশি।
সূর্যগ্রহণ যোগ থাকলে, তাদের উচ্চ আধিকারিকদের বিরাগভাজন হতে হয়। পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা আসে।
গৃহ কলহ, কর্ম ক্ষেত্রে অসাফল্য, পিতা এবং মামার সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।
সূর্যগ্রহণ দোষ থেকে মুক্তি লাভের উপায়।
এই দোষ থাকলে গম, গুর অথবা তামা দান করা উচিত।
বিনি পয়সায় কোন জিনিস নেবেন না কারোর কাছ থেকে। নেত্রহীন দের সাহায্য করুন।
এই দোষ থাকলে ছ টি নারকেল মাথা থেকে ঘুরিয়ে জলে প্রভাহিত করে দিন।
অশ্বত্থ গাছ লাগানো উচিত এবং প্রত্যেক দিন তাতে জল দেওয়া উচিত।
পরিবারের সমস্ত সদস্যদের কাছ থেকে সমান সংখ্যক করেনি কোন মন্দিরে দান করে দিন।
সব একসাথে করবেন না। একটি সময় একটি উপায় করবেন।