সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সীমাকে বি’য়ে করতে মৌলবীকে রাতে অপহরণ করেছিলেন সোহেল! কেন সংসার ভা’ঙ’লো সলমনের ভাইয়ের

সীমা সচদেব যার একদিকে পরিচয় খান বংশের ছোট ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী আর বলিউডের বেশ খ্যাতনামা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। তবে বর্তমানে সীমা সচদেব খবরের শিরোনামে আসার মূল কারণ হলো সোহেলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ। সংসার এবং নিজের পেশা দুটো জায়গাতেই তিনি যথাযথভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।

বেশ কিছুদিন আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে সোহেল খানের সঙ্গে সীমার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে, যদিও প্রথম প্রথম এই ঘটনাটি প্রকাশে্্য না এসে থাকলেও কিছুদিন আগেই এই গোটা ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে । তবে জানা গিয়েছে বেশ কিছু সময় ধরে সীমা তাঁর ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকছিলেন।

কেন এই বিবাহ বিচ্ছেদ? জানেন কি কিভাবে সোহেলের সঙ্গে সীমার বিবাহ হয়? কি ছিল তাঁদের প্রেমের গল্প? জানা গিয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে বড় কিছু করবে এমন স্বপ্ন ছিল দিল্লির মেয়ে সীমার, অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তিনি উপস্থিত হন মুম্বাইতে।

আরো পড়ুন: নতুন করে প্রেমে পড়লেন রাখি সাওয়ান্ত, প্রেমিকের কা’ছ থে’কে BMW গাড়ি উপহার পেলেন

সেখানে চাঙ্গি পান্ডের বাড়িতে এসে থাকতেন, এবং তাঁর দৌলতেই বেশ ভালো কাজ তাঁর হয়ে যায়। চাঙ্কি পান্ডের বিয়েতে চাঁদের হাট বসে ছিল সেই সময় বড় বড় অভিনেতা থেকে শুরু করে পরিচালকরা এসেছিলেন এবং সেখানে এসেছিলেন খান পরিবারের ছোট ছেলে সোহেল খান।

এখানেই সীমার সঙ্গে সোহেলের দেখা হয় এবং প্রেমের বন্ধনে আস্তে আস্তে আবদ্ধ হন। ভাবনা এবং চাঙ্কি পান্ডের বিয়ে হওয়ার পরেও সীমা তাদের সঙ্গেই থাকবেন, এরপরেই সোহেলে নিমন্ত্রণে সীমা তাঁর বাড়ি গ্যালাক্সিতে উপস্থিত হন,এর পরেই অর্পিতা এবং আলভিরার সঙ্গে খুব ভালো রকম সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সীমার। সীমা এবং সোহেল সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁরা বিয়ে করবেন, যদিও বিয়ে করতে চাওয়ার সিদ্ধান্তটাও খুব একটা ভালোমতো এগোয়নি।

সীমা যেহেতু একজন হিন্দু পরিবারের মেয়ে সেইজন্যে সীমার পরিবার কখনোই চায়নি যে একটি মুসলিম ছেলে সোহেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে। সেই সময়ে সালমান খানও জড়িয়েছিলেন কিছু বদনামের জন্য, সেই কারণেই সীমার পরিবার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে সোহেলের সঙ্গে তারা কখনোই তাদের মেয়েকে বিয়ে দেবেন না।

অবশেষে সীমার পরিবার যখন এ গোটা ব্যাপারটি না মানতে চায় তখনই সীমা এবং সোহল সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা পালিয়ে যাবেন। এর পরে রাতের অন্ধকারে সোহেলের সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান এবং উপস্থিত হন গ্যালাক্সিতে। সেখানে পৌঁছে সোহেল তাঁর বাবা সেলিম খান কে দেখে গোটা বিষয়টি বোঝালে, সেলিম খান ও এই ব্যাপার নিয়ে বেঁকে বসেন এবং জানান যে এখনো পর্যন্ত সীমার সঙ্গে সোহেলের বিয়ে হয়নি সেইজন্যে সীমা এই বাড়িতে এই মুহূর্তে থাকতে পারবে না।

আরো পড়ুন: তীব্র রোদেও ছা’য়া পড়ছে না মানুষের! আ’তংক মুম্বই জু’ড়ে

সেই মুহূর্তে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা এইভাবে থাকতে পারবেন না এবং যার জন্য একই রাতে তারা বিয়ে করে নেন। মুহুর্তের মধ্যে জোগাড় হয়ে যায় একজন মৌলভী এবং তারপরেই সোহেলের বন্ধুরা থেকে সোহেল এবং সীমার বিয়ে দেন। যদিও পরে হিন্দু মতে তারা আবার বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে নির্বাণ এবং ইয়োহান নামের দুটি ছেলে।

নেটফ্লিক্সে করনের একটি শো-তে সীমা জানান, সোহেলের সঙ্গে তিনি থাকেন না, তিনি আলাদা একটি ফ্ল্যাটে ছেলেদের নিয়ে থাকেন। সীমা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর এবং সোহেলের সাথে সম্পর্ক ভাঙার কারণ হলো হুমা কুরেশি। সীমা জানিয়েছিলেন ,হুমা কুরেশির সঙ্গে সোহেলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে যদিও এই ব্যাপারটি একেবারে অস্বীকার করে দিয়েছেন হুমা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি মুদসসর আজিজ এর সঙ্গে প্রেম করছেন। তাহলে এখন প্রশ্ন কিসের কারনে এত ভালোবাসার সম্পর্কটি অবশেষে বিচ্ছেদে পরিণত হচ্ছে?