বর্ষার মরসুমে মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে বাজারে ইলিশের অভাব দেখা দিচ্ছে। তবে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে এই দফায়। উপজেলার মাছঘাট ইলিশের দ্বিতীয় বড়বাজার হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকেই এইবার প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গিয়েছে।
ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ইলিশ ধরা পড়েছে এদিন মৎস্যজীবীদের জালে। তবে একটি বড় ইলিশ কার্যত রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে মৎস্যজীবী মহলে। মৎস্যজীবীদের জালে এদিন ধরা পড়েছে তিন কেজির ইলিশ। বাজারে ৪ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই মাছ। ভোলার ধনিয়া তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে ২ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের এই মাছটি দেখার জন্য ইলিশপ্রেমী বাঙালি এদিন ভিড় জমান বাজারে।
ওই মৎস্যজীবী করিম মাঝি জানালেন, রাতে মেঘনা নদীতে জাল ফেলতেই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর জাল তুলতেই দেখা যায় ১৭টি ইলিশ ধরা পড়েছে জালে। এর মধ্যে ওই বড় সাইজের ইলিশটিকে দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় মৎস্যজীবীদের। ওই একটি বড় মাছ বিক্রি করেই ৪,৩০০ টাকা উপার্জন করেন তিনি। বাকি মাছ তিনি ৯০০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
নান্নু চেয়ারম্যানের আড়তে ওই বড় মাছটিকে নিলামে তোলা হয়। মৎস্য ব্যবসায়ী আলামিন মাছটিকে কেনার জন্য ওত পেতে বসে ছিলেন। এবার চার হাজার টাকার থেকে কিছু বেশি টাকা খরচ করে মাছটি কিনে নিয়েছেন তিনি। মাছটি বাজারে আনতে ক্রেতাদের ঢল নামে। ক্রেতারা এক বাক্যে স্বীকার করছেন, এত বড় মাছ অনেকেই এই প্রথম দেখলেন। উল্লেখ্য এই মরসুমে মেঘনার মাছ প্রতি কেজি ৬০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।