খাদ্যদ্রব্য এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রতেও ভেজালের ঘটনার অভিযোগ ইতিপূর্বে বহুবার উঠেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। তবে জীবনদায়ী ওষুধের পাতার মধ্যে ওষুধের বদলে আচার ভরে দেওয়ার অভিযোগ এই প্রথম তুললেন কেউ। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের বাসিন্দা নিখিল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি জানালেন তিনি দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি ওষুধ খেয়ে আসছেন। ইতিপূর্বে এমনটা তার সঙ্গে কখনো ঘটেনি।
ওষুধের নতুন স্ট্রিপ কিনে আনার পর সেখান থেকে ওষুধ খেতে শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন একটা করে ওষুধ খাওয়ার পর আচমকাই একদিন আবিষ্কার করেন একটি মোড়কের ভিতরে ওষুধের বদলে অন্য কোনো পদার্থ রয়েছে। লাল রঙের একটি পদার্থ ওষুধের মোড়কের ভেতর থেকে গড়ে আসতে দেখেন তিনি। নাকের কাছে নিয়ে গিয়ে গন্ধ শুকতেই গন্ধটা কেমন যেন চেনা চেনা ঠেকে তার। জিভে ঠেকাতেই তিনি নিশ্চিত হন, ওষুধের জায়গায় আচার বা চাটনি জাতীয় কিছু ভরে দেওয়া হয়েছে!
তবে নিজের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় এ পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেননি। কারণ এই ওষুধটি কেনার জন্য কোন প্রেসক্রিপশন বা দোকানের তরফ থেকে কোনো বিল তাকে দেওয়া হয়নি। ওষুধের দোকানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি তিনি। তবে এই ওষুধের পাতার অন্যান্য ওষুধগুলি আদৌ ওষুধ ছিল কিনা, তা নিয়ে বর্তমানে আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ খেয়ে আসছেন। ইতিপূর্বে কখনো তার সঙ্গে এমনটা হয়নি।