সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বা’স্ত’ব জী’ব’নে’র টারজান! জঙ্গলেই ব’স’বা’স ৪১ বছর ধ’রে, মহিলার অ’স্তি’ত্ব স’ম্প’র্কে জানেনই না কিছু

ছোটবেলায় কমিকসের বইয়ে টারজানের গল্প কে পড়েননি? টারজানকে নিয়ে ছবিও বানিয়েছিল বলিউড। টারজান থাকতো জঙ্গলের মধ্যে। মনুষ্যবসতি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। বনের পশুরা ছিল তার বন্ধু। বনের ফলমূল খেয়েই জীবন ধারণ করত সে। গাছের ছাল পরে লজ্জা-নিবারণ করতো। বাস্তবেও কিন্তু এমনই এক টারজানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যিনি ছোটবেলা থেকেই জঙ্গলে মানুষ হয়েছেন।

৪১ বছর ধরে ভিয়েতনামের গভীর অরণ্যে বসবাস করছেন হো ভ্যাং ল্যাং। বাইরের জগত সম্পর্কে তার কোনো জ্ঞান নেই। ১৯৭২ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন বোমা হামলায় মা এবং দুই ভাই নিহত হওয়ার পর থেকেই বাবা এবং জীবিত আরেক ভাইকে নিয়ে সভ্য জগতের বাইরে জঙ্গলে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। নাগাই প্রদেশের টে ট্রা জেলার গভীর জঙ্গলেই তাদের বাস। বাবা এবং ভাইকে নিয়ে আজও সেখানে নিরাপদে জীবনযাপন করছেন তিনি।

জঙ্গলের ফল এবং মধু বা বন্য কোনও জন্তুই তাদের আহার্য। জঙ্গলের উপর নির্ভর করেই রীতিমতো বন্য জীবন যাপন করছেন তারা। ২০১৫ সালে আলভেরো সেরেজো নামের এক ফটোগ্রাফার অরণ্যের ছবি তুলতে গিয়ে এই পরিবারের খোঁজ পান। তিনি তাদের তিনজনকে জঙ্গলের বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। জীবনে প্রথমবার সভ্য জগতের সংস্পর্শে আসেন ওই ব্যক্তি। এতদিন পর্যন্ত মহিলাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তার কোনও জ্ঞানই ছিল না।

নারী-পুরুষ বা যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তিনি। আজীবন জঙ্গলে থাকতে থাকতেই জীবনযাপন সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান তার অধরাই থেকে গিয়েছে। ভ্যাং ল্যাং শিশুর মতোই নিষ্পাপ ও সরল। পৃথিবীর সবথেকে সরল মনের মানুষ বলে তাকেই উল্লেখ করেছেন তার আবিষ্কারক সেরেজো।