ছোটবেলায় এসব শিশুরাই চকলেট-মিষ্টি-আইসক্রিম খেতে ভালোবাসে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি মিষ্টি খেলে নানা রকম শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার ও অনেক সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস ওবিসিটি নানা ধরনের রোগের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
ডাক্তাররা পরীক্ষা করে এইটা বুঝতে পেরেছেন যে খুব বেশি পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় জিনিস পান করলে শিশু কালে না হলেও একটু বেশি বয়স হলে তার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে ডায়েট ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার মধ্যে একটা সংযোগ রয়েছে। ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে যে তাদের মস্তিষ্কে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রভাব বেশি পরিমাণে পড়ে। গবেষণার সময় এক মাস ধরে ইঁদুরকে মিষ্টি জাতীয় খাবার দেওয়া হয়েছিল।
এরপরে দেখা যায় যে যেসব ইঁদুরগুলো জল পান করছিল তাদের তুলনায় যেইসব ইঁদুরগুলো মিষ্টি পানীয় খাওয়ানো হয়েছে তাদের স্মৃতিশক্তি অনেক পরিমাণে কমেছে। তাদের ঘাট মাইক্রোবায়োম পরিবর্তন হয়েছিল। ফলে ডাক্তাররা ছোট থেকেই শিশুদের একটি ডায়েটের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস করার দিকে জোর দিচ্ছেন।