সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রবোধিনী একাদশী: এদিন ভগবান বিষ্ণুর চার মাস পর ঘু’ম ভা’ঙে, জেনে নিন মাহাত্ম্য

পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি দেবত্থান একাদশী নামে পরিচিত। পুরাণ অনুযায়ী, সায়ন একাদশী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ নিদ্রা যাও এবং তার চার মাস পরে এই তিথিতে তিনি জাগ্রত হন। মাঝের এই চার মাস কে বলা হয় চতুমাস। এই চার মাসে কোন রকম বিবাহ অথবা শুভকার্য করা যায় না। এই বছর ১৫ নভেম্বর থেকে পালিত হচ্ছে প্রবোধিনি একাদশী, এই দিন থেকে সমস্ত রকমের শুভকার্য করা যেতে পারে।

প্রবোধিনি একাদশী, কার্তিকি একাদশী, তার থেকে শুক্লা একাদশী অথবা কার্তিকি নামে পরিচিত হয়।এই একাদশীর পর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে দেব দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়। শাস্ত্রমতে মনে করা হয়, যে ব্যক্তির কোন মেয়ে নেই, তারা তুলসী বিবাহ করিয়ে কন্যাদানের পূর্ণ করতে পারেন এই সময়। দেবত্থান একাদশীর দিনে বিষ্ণু এবং তুলসীর বিবাহ করা যেতে পারে।

এই একাদশীতে মহালক্ষী এবং রবি যোগের মত শুভ যোগের সৃষ্টি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই শুভ যোগের উপস্থিতিতে অর্থাৎ একাদশীর দিনে বিষ্ণুর লক্ষী এবং তুলসীর পুজো করা হলে অক্ষয় ফল লাভ হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এই দিনে এমন যোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই একাদশী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানান ধরনের উৎসব পালন করা হয়। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এই সময় মহারাষ্ট্রের বিটঢল মন্দিরে পুজো করেন। কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে এই বিশেষ উৎসব। গুজরাটের গিরনার পর্বতের চারিপাশে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে মন্দির প্রদক্ষিণ করেন লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী। ভক্তরা বিশ্বাস করেন এই সময় দেবতারা পর্বতে সমবেত হন।

এই একাদশীতে এশিয়ার বৃহত্তম উটের মেলা পুষ্কর মেলা শুরু হয় রাজস্থানের পুষ্করে। এই মেলা পাঁচদিনব্যাপী হয় এবং শেষ হয় কার্তিক পূর্ণিমাতে। দেবতা ব্রহ্মার সম্মানে এই মেলা আয়োজন করা হয়। পুষ্কর হ্রদে স্নান করলে মুখ মোক্ষলাভ পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। সাধুরা এখানে এসে একাদশীর থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত বাস করেন গুহায়। এই বিশেষ দিনে কিছু নিয়ম পালন করতে হবে আপনাকেও

এইদিন গাছপালা ভাঙবে না।

চুল এবং নখ কাটবেন না এই দিন।

এইদিন সরল এবং সংযমের জীবনযাপন পালন করুন।

এদিন চাল খেতে নেই।

অন্যের দেওয়া জিনিস খেতে নেই এই দিন।

এইদিন ফুলকপি শালগম এবং পালং শাক খাওয়া উচিত নয়।

এই দিনে উপবাস করে থাকলে বিছানায় শোবেন না।

এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে উঠে বিষ্ণুর সামনে প্রদীপ জ্বালাতে হবে।

এইদিন বিষ্ণুর নামে কীর্তন করা উচিত।

নির্জলা ব্রত রাখলে শুভ ফল পাওয়া যায়।

এই দীন-দরিদ্র অথবা গরুকে আহার প্রদান করুন।