সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বৃষ্টি হতেই বি’ষা’ক্ত কাঁকড়াবিছের হা’ম’লা, মৃ’ত ৩, প্রায় ৫০০ জন আ’হ’ত

আমাদের কাছে বৃষ্টি হওয়া মানেই চারিদিকে জল থইথই করার মত অবস্থা এবং সেটাই আমাদের কাছে বড় আতঙ্কের বিষয়, কিন্তু কোন একটি জায়গায় যেখানে বৃষ্টি হওয়া মানেই মানুষের মৃত্যু ভয় চলে আসা। বৃষ্টি হলেই তাদের আতঙ্কে থাকতে হয় দিনের পর দিন, কারণ বৃষ্টির প্রকোপে তাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় মৃত্যুদূত।

এখানে সেই জায়গার কথা বলা হচ্ছে যেখানে মৃত্যুদূত কাঁকড়া বিছের আতঙ্ক ছড়ায় বৃষ্টি হলে। জায়গাটি হলো মিশরীয় মাইথোলজিতে স্কোরপিয়ন কিং। এই অঞ্চলে যখনই প্রচুর বৃষ্টি হয় সাথে সাথেই মাটির বাসন ছিরে সমস্ত কাঁকড়া বিছেদের আস্তানা গড়ে ওঠে শহরাঞ্চলে রাস্তাঘাটে।

এই অঞ্চলে বৃষ্টি হবার সাথে সাথে মানুষের মৃত্যু ভয় এসে দাঁড়ায় দোরগোড়ায়। বৃষ্টি হলে কাঁকড়া বিছে উঠে আসে শহরাঞ্চলে এবং যার ফলে শুধুমাত্র যে শহরের রাস্তাঘাট এই তাদের দেখা যায় তা না, বাড়ি ঢুকে ঢুকেই তারা তাদের প্রকোপ চালিয়ে বেড়ায়।

আরো পড়ুন: শেষ যু’দ্ধ শুরু! রাজধানী কিভে রুশ বা’হি’নী’কে ঠে’কা’তে সাধারণ মানুষ অ’স্ত্র হাতে

১২ ই নভেম্বরে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে যার ফলে কাঁকড়া বিছের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের এবং অন্যদিকে ৫০০ জন কমপক্ষে আহত হয়েছেন ইতিমধ্যেই প্রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯০ জন।

মিশরের এই অঞ্চলের স্বাভাবিক ভাবে কাঁকড়া বিছে কামড়ে গোটা বছর ধরে এই নানান মানুষরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে উপস্থিত হন তবে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে চিকিৎসকদের ছুটি ইতিমধ্যে বাতিল করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বড় বড় যাত্রীবাহী জাহাজ আসার জন্য বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই রোগের ঔষধ এন্টিভেনাম ইতিমধ্যেই পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন: বিশ্ব শা’স’ন করবে পুতিনের রাশিয়া, আগেই এই যু’দ্ধে’র ভবিষ্যৎবাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা

কাঁকড়া বিছে কামড়ালে স্বাভাবিকভাবেই চার ঘণ্টা সময় দিচ্ছে কারণ এই ধরনের কাঁকড়া বিছে হলো বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর কাঁকড়া বিছে। এই কাঁকড়া বিছে কামড়ানোর চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা না চালু হলে যে কোন মানুষ মারা যেতে পারে।