সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফে’র বাঘের আ’ত’ঙ্ক, এবার গোসাবার লো’কা’ল’য়ে ঢু’কে পড়লো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার

সত্যিই কম ধকল যায়নি দক্ষিণ রায়ের উপর, কুলতলির সেই বাঘ যাকে কিনা কয়েকদিনের কঠিন প্রচেষ্টায় জালবন্দী করা গেছে। কিন্তু কুলতলিতে শান্তি ফিরে এলেও, বাঘের ভয় দূর হলেও সুন্দরবন সংলগ্ন আরেকটি গ্রামে সম্প্রতি দক্ষিণ রায়ের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে।আর এইসব নিয়েই ফেরা তোমকো ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মনে। তাহলে কি ফের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বাঘ? প্রশ্ন সবার মনে। জানা যাচ্ছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার লাহিরিপুর পঞ্চায়েতের চার্ঘেরি গ্রামে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ রায়, যা কিনা তার পায়ের ছাপ দেখে অনুমান করছে গ্রামবাসীরা।

বাঘের পায়ের ছাপ দেখার সাথে সাথেই, বন দপ্তরের খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফতরের কর্মীরা এসে দেখতে পায় গ্রামের মধ্যে রয়েছে বাঘের পায়ের ছাপ। বিষয়টা অবাক হওয়ার কিছুই নেই কারণ, গ্রামের খুব নিকটে রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এখন সেই ম্যানগ্রোভের অরণ্যেই লুকিয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বনকর্মীরা। ইতিমধ্যেই তাকে পাকড়াও করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, গ্রামের আশেপাশের এলাকার নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আতঙ্কের ছাপ দেখা যাচ্ছে এর মধ্যেই। কারণ গত মঙ্গলবার কুলতলী গ্রামে যখন বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল, ঠিক তার পর থেকেই গ্রামবাসীদের নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে, নিজেদের গৃহবন্দি করতে হয়েছিল।

পিয়ালী নদীর ধার ঘেঁষে সব জায়গাতেই নাইলনের জাল দিয়ে চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছিল,এমনকি কয়েক জায়গায় ছাগল রেখে ফাঁদ পর্যন্ত পাতা হয়েছিল, কিন্তু কিছুতেই হাতের নাগালে আসছিল না বাঘ মামা, গ্রামের আতঙ্ক এতটাই শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল, যার ফলে ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারী করা হয়েছিল।পিয়ালী নদীর ঠান্ডা জল জঙ্গলের স্প্রে করে, এমনকি শেষ পর্যন্ত লঙ্কা বোম ফাটিয়েও কুলতলির বাঘকে প্রকাশ্যে আনাও সম্ভব হয়নি, তাই শেষ পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনকর্মীরা জঙ্গলে প্রবেশ করে সেই বাক্যে উদ্দেশ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ে।এবার যাতে সেই অবস্হায় না হয় খুব শীঘ্রই যাতে দক্ষিণরায়কে জালবন্দী করা সম্ভব হয় সেটার চেষ্টাই চলছে। কুলতলির গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিন বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছিল, ঠিক সেই অবস্থা যাতে না হয়, তার আগেই যাতে বাঘ মামা কে তার বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় সেই নিয়েই আলোচনা চলছে বনকর্মীদের মধ্যে।