সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পাকিস্তানেও রয়েছে কিছু ধনী হিন্দু, কেউ রাজনীতিবিদ তো কেউ ফ্যাশন ডিজাইনার, চিনে নিন

অনেকদিন আগেই নিজেদের মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। হিন্দুরা সেখানে বঞ্চিত নিপীড়িত বলে অভিযোগ করেন। তবে অনেকেই জানে না পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের। সম্প্রতি নানান রকম সংকটে ভুগছে পাকিস্তান।

গম থেকে গ্যাস সব কিছুর দাম অগ্নিমূল্য। এক কঠিন সময় মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তারা। সে দেশের কয়েকজন হিন্দু ব্যক্তিদের সম্পত্তি রীতিমতো ঈর্ষণীয় মুসলিমদের কাছে। পাকিস্তানি ধনী হিন্দুদের মধ্যে অন্যতম হলেন দীপক পেরওয়ানি। পেশায় তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার আবার অভিনেতাও একাধিক পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সম্পত্তির পরিমাণ ১১৩ কোটি টাকা। পাকিস্তানের আরেকজন উল্লেখযোগ্য ধনী মহিলা হলেন রিতা ঈশ্বর। তিনি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্য ছিলেন। ১৯৮১ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

আরো খবর: সরস্বতী পু’জো’র আ’গে কুল খেতে কেন বারণ ক’রা হয়? সত্যিই কি রা’গ করেন বাগদেবী?

ভারতীয় মুদ্রায় তার সম্পত্তি ৩৭ কোটি টাকা। পাকিস্তানের মুসলিম লীগ দলের সঙ্গে যুক্ত তিনি। পাকিস্তানের আরেকজন ধনী হিন্দু ব্যক্তি হলেন নবীন পেরওয়ানি। তিনি দীপকের তুতো ভাই। বিনোদন জগত এবং ক্রীড়া জগতের পরিচিত মুখ। আবার ২০০৬ সালে জর্ডনের international billiards and snnoker ফেডারেশনে তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

তার সম্পত্তির পরিমাণ ৭২ কোটি টাকার বেশি। পাকিস্তানের বিখ্যাত ধনী হিন্দুদের মধ্যে অন্যতম হলেন খাতুমোল জীবন। তিনি প্রথম সারির রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তান পিপলস পার্টি নেতাও ছিলেন একসময়। ১৯৮৮ সালে সিন্ধু বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি তার সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকার বেশি।

পাকিস্তানের আরেক বিখ্যাত হিন্দু রাজনীতিবিদ রাণাচন্দ্র সিংহ। পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি সাতবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির টিকিটে জিতে ছিলেন। তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন হিন্দু-মুসলমান ধর্মের মানুষজনের কাছে তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি টাকা।