বিশাল এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে! তার কিছুটা আমরা জানতে পারি, কিছুটা আমাদের অজানাই থেকে যায়। তবে বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় বিশ্বের এক প্রান্তের খবর নিমেষেই অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। যার দরুন কতশত অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য খবর নিত্যদিন আমাদের নজরে আসে। সেরকমই একটি খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই এক সন্তানের মা হয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন পেরুর বাসিন্দা লিনা মেদিনা! শুনতে অবাক এবং অবিশ্বাস্য ঠেকলেও এই খবরের প্রতিটি অক্ষর কিন্তু একেবারে সত্যি। ১৯৩৯ সালে যখন লিনার বয়স মাত্র ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন, তখন তার কোল জুড়ে আসে তার প্রথম সন্তান গেরার্ডো। ওই বয়সেই একেবারে সুস্থ এবং স্বাভাবিক একটি শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন লিনা।
বয়সের তুলনায় অত্যন্ত দ্রুত পরিণত হয়ে উঠেছিলেন লিনা। জানা যায়, লিনার বয়স যখন মাত্র আট মাস, তখনই তার রজস্রাব শুরু হয়ে যায়। তার শরীরের বৃদ্ধিও পরিবার-পরিজনের নজর কাড়ে। তবে পাঁচ বছর বয়সে তার পেটের আকার অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। যা দেখে পরিবার এবং চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন তার পেটে সম্ভবত কোনো টিউমার হয়েছে।
তবে পরীক্ষা করতেই চিকিৎসকদের চক্ষু চড়কগাছ! পাঁচ বছরের এই খুদে মেয়েটির গর্ভে সাত মাসের আরেক খুদে বেড়ে উঠেছে! এরপর অস্ত্রপচার মারফত তার প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
উল্লেখ্য, তার সন্তানের বাবা কে তা আজও অজানা। কারণ পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটি সেদিন তার উপর হওয়া অত্যাচারের কোনো স্পষ্ট বিবৃতি দিতে পারেনি। আজ লিনার বয়স ৯৭ বছর। বিশ্বের সবথেকে কনিষ্ঠতম মা আজও জীবীত। তবে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কোনও তথ্য বাইরে প্রকাশ করতে তিনি রাজি নন।