সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বে ক’রো’না’র নতুন প্রজাতির খোঁ’জ মিললো, ভ্যা’ক’সি’নে’ও মিলবে না সু’রা’হা

গত এক বছরের ও বেশি সময় ধরে করোনার কারণে রীতিমতো জর্জরিত দেশের মানুষ।Covid গোটা বিশ্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ এঁকে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এদেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ। এরই মধ্যে গবেষকরা সন্ধান পেলেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের। দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ একাধিক দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট আগেরগুলোর থেকেও শক্তিশালী – এমনই দাবি করছেন গবেষকরা।

এর ফলে ভ্যাকসিন কাজে দেবে কি না সেই বিষয়ে আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে বিজ্ঞানীমহলে। দক্ষিণ আফ্রিকার  National Institute for Communicable Diseases বা NICD-র দাবি, গত মে মাসে C.1.2 ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে ইংল্যান্ড, কঙ্গো, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগালের মতো দেশে। ওই দেশগুলিতে অগাস্টে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

গবেষকরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার শক্তি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর থেকে অনেক বেশি। আর তাই এটি বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়লে ভ্যাকসিন কাজ নাও করতে পারে। গবেষকদের চিন্তায় ফেলেছে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে।

যেখানে মে মাসে সংক্রমণের হার ছিল মাত্র ০.২ শতাংশ, সেখানে জুলাইয়ে এই হার ছাড়িয়েছে ২ শতাংশ। গবেষকদের একাংশের আরও দাবি, এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণযোগ্য হতে পারে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে, তাই এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা পেতে পারে।

সমস্যা সমাধানের উপায়ও রয়েছে। মহামারি বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভ্যাকসিনেশন ও করোনা সতর্কতার উপর জোর দিতেই হবে। যদি ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের জন্য কাজ না করে তাহলেও সতর্কতা মেনে চললে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।