খাদ্য, বাসস্থান, চাকরি সমস্ত কিছুর মতই মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় একটি দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে মাক্স পরা। অর্থাৎ যদি করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হয় তাহলে নিয়ম-নীতি মেনে পরতে হবে মাক্স। গত বছরে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে গোটা বিশ্বে তার প্রকোপ চালিয়েছিল, তা এখনো পর্যন্ত স্থায়ী রয়েছে। গত বছরের তুলনায় আমাদের দেশে চলতি বছরে সংক্রমনের পরিমাণ আরো বেশি করে বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
এইরকম অবস্থায় করোনা থেকে বাঁচার একটি বিশেষ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাক্স পরা। করোনা থেকে এখন বাঁচার জন্য করানো হচ্ছে টিকাকরণ। করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেই সতর্ক করা হচ্ছে দেশবাসীকে তৃতীয় ঢেউ এর জন্য। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চারা।
এরকম একটি আতঙ্কের জন্যই ট্রায়াল’ চলছে ছোট বাচ্চাদের ওপর টিকাকরণের। তবে বাচ্চাদের কোন সময়ে অর্থাৎ কোন বয়সের বাচ্চাদের মাক্স না পড়লেও চলবে সে বিষয়ে নয়া তথ্য পেশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ডক্টরের জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ৫ বছরের অনূর্ধ্ব যারা তাদের মাক্স পড়ার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই।
এইরকম একটি তথ্যর পাশাপাশি ডিজিএইচএস সমস্ত রকম কোভিড নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন, এবং তিনি জানিয়েছেন যে, ৬ থেকে যারা ১১ বছর পর্যন্ত শিশুরা রয়েছে তারা অবশ্যই মাক্স পরবে কিন্তু সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
করোনার তৃতীয় ঢেউতে যেহেতু বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উঠে এসেছে তথ্যে, সেই অনুযায়ী কিভাবে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখা দরকার সে সম্পর্কে অনেক নিয়মকানুন বলা হয়েছে ডিজিএইচএস এর পক্ষ থেকে। করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত করোনা রোগীদের রেমডিসিভির ব্যবহার করা হতো কিন্তু সেটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করার কথা এখনো পর্যন্ত বলা হয়নি।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে যে সমস্ত রোগীরা ১৮ বছরের অনূর্ধ্ব থাকবে, তাদের যদি অল্প কিংবা মাঝারি উপসর্গ দেখা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন রকমে স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে না। যাদের মৃদু উপসর্গ থাকবে তারা যেন ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর অন্তর একটা করে প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়। তবে বর্তমানে বৃহস্পতিবারের যে রিপোর্ট আসে তাতে দেখা যায় যে, দেশের দৈনিক সংক্রমণ কমেছে কিন্তু দৈনিক সংক্রমণ কমার পাশাপাশি যেভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, সে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছে বিশেষজ্ঞরা। ২৪ ঘন্টায় প্রায় ছয় হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দৈনিক মৃত্যুতে রেকর্ড করেছে।