বলিউডের স্বর্ণযুগের অভিনেত্রীদের মধ্যে যার নাম না দিলেই নয় তিনি হলেন রেখা। রেখাকে কেন্দ্র করে বলিউডে বহু গুঞ্জন শোনা যায়। এই অভিনেত্রী যেমন তার অভিনয় এবং রূপের জাদুতে দর্শকের মনে ঝড় তুলেছিলেন, তেমনই ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরুষের রাতের ঘুম উড়িয়েছিলেন এই এভারগ্রীন সুন্দরী। জীবনের প্রতি পদে পদে রেখার সঙ্গে বহু পুরুষের নাম জড়িয়ে যায়। যাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন!
অমিতাভ, বিনোদ খান্না, জিতেন্দ্র, অক্ষয় কুমার ছাড়াও রেখার জীবনে এক মহিলার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে বলিউডে বহু গুঞ্জন ছড়িয়েছে। নাম তার ফারজানা।
রেখার জীবনে তার উপস্থিতি বিশেষত দখলদারি ইন্ডাস্ট্রিতে কারোর অজানা নেই। তার অনুমতি ব্যতীত রেখার সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, কথা বলার অধিকার নেই কারোর! শোনা যায় এই নিয়ম নাকি রেখার স্বামীর মুকেশের জন্যও প্রযোজ্য ছিল!
সিলসিলা ছবির শুটিংয়ের সময়েই ফারজানার সঙ্গে রেখার প্রথম আলাপ হয় বলে শোনা যায়। ফারজানা ছিলেন রেখার কেশশিল্পী। তবে প্রথম আলাপেই ফারজানা রেখার উপর এমন প্রভাব ফেলেছিলেন যে রেখা খুব দ্রুত তাকে নিজের ব্যক্তিগত সচিব করে নেন। ফারজানা মহিলা হলেও বরাবর তার বেশভূষা ছিল পুরুষদের মত। এমনকি তার হেয়ারস্টাইল ছিল একেবারে অমিতাভ বচ্চনের মত।
মুকেশের সঙ্গে রেখার সম্পর্কের অবনতির জন্যেও মুকেশের পরিবার ফারজানাকেই দায়ী করে থাকেন। তার পরিবারের দাবি, ফারজানার উপস্থিতিতে রেখা অন্য রকম আচরণ করতেন। তিনি কারোর সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না। তবে ফারজানার অনুপস্থিতিতে তিনি সকলের সঙ্গে খোলামেলাভাবে মিশতেন।
রেখার সঙ্গে এই দূরত্বই মুকেশের আত্মহত্যার জন্য দায়ী বলে দাবি করেন তার পরিবার। বলিউডে এও গুঞ্জন উঠেছিল যে, ফারজানা সঙ্গে নাকি রেখার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে! তবে রেখার দাবি, ফারজানা তার বোনের মত। মুকেশের মৃত্যুর পর রেখা আর কখনো বিয়ে করেননি। ফারজানাও সারাজীবন অবিবাহিতই থেকে গিয়েছেন।