একসময় স্টার জলসার পর্দায় জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল ছিল ‘মা’ সিরিয়াল। মূলত মা-মেয়ের একে অপরকে খোঁজার কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছিল এই সিরিয়াল। মায়ের ভালোবাসা না পাওয়ার কষ্ট যে কি তা ছোট্ট ঝিলিক যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে বুঝিয়ে দিয়েছিল সকলকে তার অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। ‘ঝিলিক’ – সেই শিশুশিল্পীর নাম যার টানে বাঙালি রীতিমতো স্নান-খাওয়া ভুলে টেলিভিশনের পর্দার সামনে বসে পড়তো রাত ৮টা বাজলেই। সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলেছিল এই সিরিয়ালটি। ঝিলিকের কষ্টে কেঁদে উঠতো হাজার হাজার মায়ের মন। তবে, ‘মা’ সিরিয়ালে তার নাম ঝিলিক থাকলেও তাঁর আসল নাম তিথি বসু।
‘মা’ সিরিয়ালে ছোট্ট ঝিলিকের অভিনয় নজর কেড়েছিল সকল দর্শকদের। ঝিলিক যখন নিজের মাকে খুঁজে পায় তখন দর্শকও আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। আর এই সিরিয়ালই তার জীবনে সাফল্য এনে দিয়েছে । এপার বাংলা ও ওপার বাংলা এই দুই বাংলার মানুষের কাছেই বেশ জনপ্রিয় ছিল এই সিরিয়ালটি।
View this post on Instagram
আর তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় ছিল ছোট্ট ঝিলিক। তিথি মা ধারাবাহিকের আগে শিশুশিল্পী হিসেবে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখে সুপারস্টার প্রসেনজিত ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত “বন্ধু” সিনেমার মাধ্যমে। এরপর বাংলাদেশের ‘হৈমন্তী’ নামক একটি টেলিফিল্মেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি বছর খানেক আগে স্টার জলসার ‘ময়ূরপঙ্খী’ ধারাবাহিকে একটি পার্শ্বচরিত্রে অর্থাৎ অভিনেতা বিশ্বনাথ এর বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। পরবর্তীকালে পড়াশোনার চাপে নিজেকে অভিনয় জগৎ থেকে সরিয়ে নেয় তিথি। মাঝে মধ্যে নানান বিজ্ঞাপনের শ্যুট করে থাকেন তিথি।
View this post on Instagram
সকলের প্রিয় ঝিলিক এখন আর ছোট্টটি নেই।এখন সে কলেজে পরে। ছোট বেলা থেকেই অভিনয় ছাড়াও একটু আধটু মডেলিং এর শখ রয়েছে তিথির। নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ ভালো ভাবে সক্রিয় থাকার দরুন মাঝে মধ্যেই নিজের বোল্ড এন্ড হট ফটোশুটের ছবি শেয়ার করে থাকেন তিথি। সম্প্রতি নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে নিজের মনের মানুষ দেবায়ুধ পালের সাথে ছবি শেয়ার করেছেন তিথি। প্রেমিক কে নিয়ে তাকে বেশ খুশি থাকতে দেখা যায়। এমনকি মাঝে মধ্যেই তার সঙ্গে ছবি তুলে পোস্টও করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি ছিল প্রেমিকের জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষে তার সঙ্গে আদুরে মাখা একটি ছবি পোস্ট করে তিথি লেখেন যে, ‘ শুভ জন্মদিন ভালোবাসা। তুমিই সব কিছু যা আমি চাইতে পারি। তোমাকেই চাই এটাই আমার প্রথম চাওয়া। আর তোমার সাথে বিয়েটা হল আমার দ্বিতীয় চাওয়া’।