সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঠাকুরঘর সা’জা’নো’র ক্ষে’ত্রে এই ছোট্ট ভু’লগুলো করলেই গৃহত্যাগ করবেন মা লক্ষ্মী!

প্রতি হিন্দু বাড়িতেই ঈশ্বরের সাধনা করার বিধান রয়েছে। বিশেষত সাত সকালে উঠে ঠাকুরের মুখ দেখে দিন শুরু করেন অনেকেই। ঘুমানোর খাবার জন্য যেমন আলাদা আলাদা ঘর থাকে ঠিক তেমনই ঠাকুরের জন্য থাকে ঠাকুর ঘর। কিন্তু অনেকেই জানেন না ঠাকুর ঘরের বাস্তুতন্ত্র! কিংবা সিংহাসনে বা বাড়িতে কোন ঠাকুর রাখা উচিত। এই ঠাকুর ঘরের ভুল অবস্থানের জন্য ছারখার হয়ে যেতে পারে একটা জীবন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বাড়ির যে কোন স্থানে ইচ্ছে করেই ঠাকুর ঘর বানাতে পারবেন না, কোন গৃহস্থ।

মূলত ঈশান কোন বা উত্তর দিকে ঠাকুর ঘর বানানো উচিত। ঠাকুর ঘরে দেব দেবীর পুজো করা উচিত পূর্ব দিকে মুখ করে।ঠাকুরের মন্দির বা সিংহাসনের প্রস্থ কখনো উচ্চতার চেয়ে বেশি হওয়া যাবেনা। বাড়ির মধ্যে সিংহাসন বা মন্দির তৈরি করলে ২:১ অনুপাতে তা তৈরি করা উচিত। ঠাকুর স্থাপন করবেন এমন জায়গায় যাতে যিনি পুজো করবেন তার হৃদয়ের কাছে থাকেন।

বাড়ির ঠাকুর ঘরে বা সিংহাসনে কখনো বড় মূর্তি রাখতে নেই। ৯ আঙুল উচ্চতা বিশিষ্ট যেকোনো মূর্তি রাখা যেতে পারে। ঠাকুর ঘরে কোন ভাঙ্গা মূর্তি রাখা চলবে না। অথবা ঠাকুরের বিবর্ণ ফ্যাকাশে ছেঁড়া ছবি রাখাও বিপদজনক। এই ধরনের মূর্তি থাকলে তা কোন গাছের তলায় রেখে আসুন। এছাড়া বাড়ির ঠাকুরের সঙ্গে পূর্ব পুরুষদের পূজা করা উচিত নয়।

আরো খবর: TET পরীক্ষা দি’তে যাওয়ার সময় এই কথাগু’লো মাথায় অবশ্যই রাখতে হ’বে!

অনেকে ছোট বাড়িতে নিজের শোবার ঘরে ঠাকুর ঘর বানিয়ে ফেলেন। এমনটা কখনোই উচিত নয়। শোবার ঘর স্টোররুম এবং বেসমেন্টে ঠাকুর ঘর তৈরি করতে নেই। ঠাকুর ঘর হবে খোলামেলা এবং আলো-বাতাস যুক্ত। দেবতাদের কোন উগ্র মূর্তি ঠাকুর ঘরে রাখবেন না, যেমন নটরাজ কাল ভৈরব বা চন্ডী।

ঠাকুর ঘরে কোন চকচকে রং নয় বরং হালকা গোলাপি কমলা রং ব্যবহার করতে পারেন। কালো রং নিষিদ্ধ। সিঁড়ির নিচে ঠাকুর ঘর করা উচিত নয়। শৌচালয়ের পাশেও তৈরি করবেন না ঠাকুর ঘর। এতে আর্থিক অনটন কখনো পিছু ছাড়বে না।