সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঋণের জা’লে আ’ট’কে সর্বস্বান্ত শ্রীলঙ্কা, চীনের দাদাগিরিতে দুধ ২০০০ টা’কা প্রতি লিটার

চিনের ঋণের বোঝায় একেবারে তলিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা, কিন্তু এখন তাদের তুলে ধরবে কে? এর উত্তর কেবল ভারত ছাড়া আর কেউ দিতে পারবে না। বর্তমান সময়ে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই শোচনীয়, ঋণের বোঝা যায় একেবারে তলিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

আর ঠিক এই সময়ে শ্রীলংকার ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে ভারত। এককথায় সাধারন মানুষ নিজের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য হিমশিম খাচ্ছে, কারণ একটাই মুদ্রাস্ফীতি। আর সেই কারণেই অনেকেই ভারতে এসে বাঁচার চেষ্টা করছে।

ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মান্নার ও জাফনার বাসিন্দা এসে উঠেছে তামিলনাড়ুতে, সংখ্যাটা ১৬ জনের মতো। তবে কিন্তু এখানেই শেষ নয় আগামীতে ২০০০ এর বেশী শরণার্থী আসতে ভারতে।

আরো পড়ুন: এবার কি তবে গ্রে’ফ’তা’র হবেন অনুব্রত মন্ডল?

যদি শ্রীলংকার আয় এর কথা বলা যায়, তাহলে প্রধান উৎস হলো পর্যটন। কিন্তু করোনার কারণে যেটা গত কয়েক বছর থেকে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। আর সেই কারণেই শ্রীলংকার ওপর বেড়েছে ঋণের বোঝা। বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলেছে।

শ্রীলংকা একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, আর সেই কারণেই তাদের প্রায় সমস্ত কিছু আমদানি করতে হয় বাইরের দেশ থেকে। কিন্তু পণ্য কেনার জন্য শ্রীলংকার কাছে এখন আর টাকা নেই, যেটা দিয়ে তারা আগের ঋণ শোধ করবে। হিসাব করে দেখা গেছে ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ রয়েছে শ্রীলঙ্কার।

কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শ্রীলংকার কাছে মাত্র ২.৩১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল। এমত অবস্থায় দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে চলে গেছে, যার কারণে সমস্ত দিক থেকে অভাব বোধ করছে সাধারণ মানুষ।

আশ্চর্য করার মতো বিষয় হলো, শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে কাগজের অভাব থাকার কারণে স্কুল গুলির পরীক্ষা বাতিল করতে হয়েছে সরকারের। ৪.৫ মিলিয়ন পরীক্ষার্থীর স্থগিত হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা যা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এখানেই কিন্তু শেষ নয়, সামান্য দুধের দাম মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ২০০০ টাকা।

আরো পড়ুন: দেশের মধ্যে প্রথম ইউনিফর্ম সিভিল কো’ড চা’লু হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে, শ’প’থ নিয়েই ব’ড়ো ঘো’ষ’ণা ধামির

নেই এলপিজি সাপ্লাই যার কারণে বন্ধ বেকারি। চাল চিনি আগামীতে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই সমস্ত কিছুর জন্য দায়ী কেবলমাত্র চীন। চিন শ্রীলঙ্কাকে গত জানুয়ারি মাসে ২.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।

এদিকে ভারত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণের কথা ঘোষণা করেছে। দেশের পরিকাঠামোগত উন্নতি চাকরি আয় ও বিভিন্ন কিছুর জন্য শ্রীলঙ্কা চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল। আর সেটাই হয়েছে তাদের সব থেকে বড় ভুল।