বাঙালির সবথেকে প্রিয় গোয়েন্দা এবার ফিরতে চলেছে বাঙালির মাঝে, কিন্তু এ যেনো একেবারে প্রথম দিকেই ছন্দপতন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই ফেলুদা ওরফে প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। যিনি বাঙালির খূবই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন গোয়েন্দা যার চোখের চাউনি থেকে বাদ পরে না কেউ। এই গোয়েন্দা বাঙালির আবেগ, একে নিয়ে ভূলত্রুটি যে কখনই মেনে নেওয়া হবে না , সেটা সবাই জানে। এমনকি এর সৃষ্টি কর্তা স্বয়ং সত্যজিৎ রায় একে নিয়েও চলবে না কোনো ভুলত্রুটি। অনেক দিনের অপেক্ষার পর এবার প্রথম ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ফিরতে চলেছে বাঙালির গোয়েন্দা। আর সেই কারণেই গত শনিবার ট্রেলার লঞ্চের আগে সবার মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল চড়চড়িয়ে, কিন্তু ট্রেলার লঞ্চের পরেই শুরু হয়ে যায় মানুষের মনে প্রশ্ন। আর তারপরেই আর কোনো ঝুঁকি না নিয়েই বদলে ফেলা হয় ক্রেডিট বোর্ড।
আসলে আগামী মাসেই রিলিজ হতে চলেছে ফেলুদার দুটি গল্প ছিন্নমস্তার অভিশাপ ও যত কান্ড কাঠমান্ডুতে। এই দুটি গল্প এবার প্রথম পরিচালনা করতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, যেটা কিনা রিলিজ হবে আড্ডাটাইমস প্ল্যাটফর্মে। তবে ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পরেই ওঠে সমালোচনার ঝড় কারণ সেখানে দেখা যায় রচনা ও পরিচালনা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আর এটা দেখেই নেটিজেনদের প্রশ্ন কবে থেকে ফেলুদার রচয়িতা হয়ে গেল সৃজিত? এইসব শুনেই প্রযোজনা সংস্থা আর ঝুঁকি না নিয়ে বদলে ফেলে ক্রেডিট বোর্ড।
A surprisingly high % of people are blissfully unaware that 'written' in film credits is synonymous with screenplay & dialogues if the story is separately credited. Hence we've re-uploaded the trailer of #FeludaPherot to avoid unnecessary & ignorance-fuelled confusion. Enjoy!:) pic.twitter.com/EGyJsZZnc2
— Srijit Mukherji (@srijitspeaketh) November 22, 2020
কিন্তু এই সবের পর দারুণ ভাবে বিরক্ত পরিচালক, তিনি মুখে কিছু না বললেও স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি একটি পোস্ট করেন ও সেখানে তিনি বলেন, আসলে চিত্র নাট্য ও ডায়লগ রচনা এটা সমার্থক একটি বিষয়, তাই লক্ষ্য করে দেখবেন আলাদা করে রচয়িতা কে ক্রেডিট দেওয়া হয়ে থাকে। তারপরেই তিনি কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন সেখানে তিনি মার্ক করেন ব্যোমকেশের গল্পে বেসড অন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ,তবে সেখানে লেখক হিসেবে নাম অঞ্জন দত্তের। এদিকে চোখের বালিতেও বেসড অন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থাকলেও , লেখক ঋতুপর্ণ ঘোষ ।