মহাদেব কে আদি দেবতা বলা হয় হিন্দু ধর্ম অনুসারে। জটায় চন্দ্র, গলায় সাপ, তাঁর হাতে ত্রিশূল থাকে। তিনি দেবাদিদেব নামে পরিচিত। পর্বতের চূড়ায় থাকেন মহাদেব। তিনি ১০৮টি নামে পুজিত হয় মর্ত্যে। মহাদেবকে নিয়ে রয়েছে একাধিক কাহিনি। বলা হয়, মহাদেবের মাথায় থাকা চাঁদ ইঙ্গিত দেয়, কাল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। তাঁর হাতে থাকে ত্রিশূল জ্ঞান, ইচ্ছা ও সম্মানের প্রতীক।
১০৮টি নামে পরিচিত দেবাদিদেব মহাদেব। নীলকন্ঠ, শিব, মহাদেব থেকে মহাকাল, ত্রিলোকেশ-সহ ১০৮টি নামে পুজিত হন। প্রতিটি নামের আলাদা আলাদা কাহিনি আছে। পুরান অনুসারে, সমুদ্র মন্থনে যে বিষ উত্থাপন হয়েছিল, তা তিনি পান করেছিলেন, তাই তাঁর নাম নীলকন্ঠ। তিনি বিশ্ব জগতের পালনকর্তা। তাই ত্রিলোকশ নামে পুজিত হন।
শাস্ত্র মতে ভগবান শিব পাহাড়ে অধিষ্ঠান করেন। তাঁর চারিদিকে পাহাড়, তুষার দেখা যায়। যা শান্তির চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। কথিত আছে ভগবান শিব নটরাজ রূপধারণ করেন। কথিত আছে নৃত্য ও সংগীত শিবের সৃষ্টি। তিনি নৃত্যকলা প্রবর্তক। তিনি রেগে গেলে ধংসের নৃত্য পরিবেশন করেন।
মহাদেবের তিনটি চোখ আছে। আর তাঁর কপালে তিনটি অনুভূতি রেখা আছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত তিনটি জগত। মহাদেবের দুটি চোখ সূর্য ও চন্দ্রের জন্য আর তৃতীয়টি অগ্নি বা আগুনের প্রতীক। কথিত আছে, ভগবান শিব অর্ধনারীশ্বর রূপের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যা অর্ধেক পুরুষ ও অর্ধেক মহিলা। এর অর্থ মহাবিশ্ব পুরুষ ও নারী উভয় শক্তির প্রতীক।
পুরান অনুসারে, ভগবান শিব দেবতাদের শাস্তি প্রদান করেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেবতাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। ভগবান শিব সকল দেবতাদের সঙ্গে একবার কাশী যাচ্ছিলেন। সকলকে সূর্যোদয়ের আগে উঠতে নির্দেশ দেন। কিন্তু, কেউ তা করেনি। এতে রাগান্বিত হয়ে শিব সকল দেবতাদের শাস্তি দিয়েছিলেন।