করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ। জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রাজ্য সরকার। তবে নিত্যযাত্রীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এদিকে লোকাল ট্রেন চালু করা প্রসঙ্গে নিত্যদিন সাধারণ মানুষের চাহিদা বাড়ছে। লোকাল ট্রেন চালু না হওয়াতে মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এবার লোকাল ট্রেন চালু করা প্রসঙ্গে চিঠি দিলেন বিজেপির তরফ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের মাত্রা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। ট্রাম, বাস চললেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা এখনো বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। যে কারণে প্রতিদিন রেল পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের বচসা বাধছে, মারামারি বেঁধে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মল্লিকপুর, সোনারপুর ও ঘুটিয়ারি রেল স্টেশনে অবরোধ, ভাঙচুর চালিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। নিত্যযাত্রীদের অবরোধের জেরে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। যার ফলে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই অবস্থায় শুক্রবার লকেট চট্টোপাধ্যায় হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলার সঙ্গে দেখা করে লোকাল ট্রেন চালনা প্রসঙ্গে আবেদন জানিয়েছেন।
লকেট তার লিখিত বয়ানে উল্লেখ করেছেন, করোনার কারণে সাধারণ মানুষের উপার্জন অনেক কমে এসেছে। একদিকে যেখানে অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে যাতায়াত সাধারণের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই লোকাল ট্রেন চালু হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। প্রসঙ্গত লোকাল ট্রেন চালনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এখনই লোকাল ট্রেনের যাতায়াত শুরু হলে সংক্রমণ যদি বেড়ে যায় তাহলে তার দায় কে নেবে?