‘গ্রাউন্ড জিরো’ বা সরাসরি ঘটনাস্থল থেকে কোনও খবর তুলে ধরার ক্ষেত্রের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বিশেষত ‘লাইভ’ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের কর্মের প্রয়াস আমরা টেলিভিশনে দেখতে পাই। তবে যা দেখলে আপনি রীতিমতো অবাক হবেন তাহল মাত্র ৫ বছর বয়সী এক কাশ্মীরি কন্যা হাফিজা এই বয়সেই সংবাদ জগতের ভাষা দারুণভাবে আয়ত্ত করে ফেলেছে! বাড়ির সামনের ভাঙাচোরা রাস্তায় ঘুরে সে যেভাবে গোটা ছবিটা তুলে ধরেছে, তা এই মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। আর সেই সাথে নেট নাগরিকরা ছোট্ট মেয়েটিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, লাল জ্যাকেট, সাদা ফুলছাপ ট্রাউজার পরে একটি ফুটফুটে মেয়ে রেশমের মতো চুল ঝুঁটি করে, হাতে আবার ল্যাপেল নিয়ে বাড়ির সামনের ভাঙাচোরা, জল-কাদায় ভরা রাস্তা নিয়ে অভিযোগের ঝাঁপি সাজিয়ে বসেছে। ভিডিওটি মাত্র ২ মিনিটের। ভিডিওটিতে মেয়েটিকে হিন্দি ভাষায় বলতে শোনা গেল, ”রাস্তা এতই নোংরা হয়ে রয়েছে যে অতিথিও এই পথে আসতে পারবে না।” সেইসঙ্গে ছোট্ট মেয়েটি আক্ষেপ করেছে – কেন যে কেউ রাস্তা পরিষ্কার করে না!
Meet Youngest reporter from the #Kashmir Valley. pic.twitter.com/4H6mYkiDiI
— Sajid Yousuf Shah (@TheSkandar) January 9, 2022
এই খুদে সাংবাদিকের নাম হাফিজা। বাবা বিলাল আহমেদ খান আর মা শায়েস্তা হিলাল। বয়স মাত্র পাঁচ বছর, সদ্য ভরতিও হয়েছে স্কুলে। তবে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে হাফিজার তুলনা হয় না। আর সেই সাথে এইটুকু বয়সেই হাফিজা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ব্যবহার বেশ ভাল বুঝতে শিখে গিয়েছে। তাই তো সে যখন বাড়ির সামনের রাস্তায় ঘুরে ‘রিপোর্টিং’ করছিল, তখন মাকে বলেছিল মোবাইলে ভিডিও করতে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে চিত্র সাংবাদিকের ভূমিকা য় ছিলেন হাফিজার মা শায়েস্তা হিলাল। তাঁর মায়ের বক্তব্য, ”মেয়ের কথাতেই আমি মোবাইল ক্যামেরায় শুট করলাম। ও আমাকে বলে দিচ্ছিল, কখন কীভাবে কোন জায়গায় ক্যামেরাটা নিয়ে যেতে হবে। আমি শুধু ওর কথা শুনে সব করেছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা তো এই খুদে কন্যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর সেটাই কি স্বাভাবিক নয় বলুনতো!মাত্র ৫ বছর বয়সেই এই খুদে এতটা পোক্ত। কেউ কেউ বলছেন, বড় হলে সাংবাদিক হিসেবে নিজেরঞ কেরিয়ার দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে খুদে কাশ্মীরি কন্যা। কিন্তু মেয়ের শখ কী তা জানতে চাইলে হাফিজা মুখ ফুটে কিছু ই বলেনি, বরং মিষ্টি মুখে শুধু হাসির ঝিলিক লেগে রয়েছে।
