উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। নিম্নচাপের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আবার বৃহস্পতিবার থেকে টানা চার দিনের জন্য বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা জারি করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেই আগামী ১১ জুন গঙ্গায় ভরা কোটাল হতে চলেছে, যার ফলে জলস্তর এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে।
গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেলে কলকাতার নিচু অঞ্চলগুলি ফের জলমগ্ন হতে পারে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে। এর মাঝেই যদি আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়, তাহলেও পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ামাত্রই প্রশাসন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই পুরসভার সবকটি পাম্প হাউসে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কলকাতার নিচু এলাকাগুলিতে দ্রুত জল নিকাশি ব্যবস্থা করার জন্য ২০০ টিরও বেশি ভ্রাম্যমান হাই পাওয়ার পামসেট বসানো হয়েছে।
জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে রেখে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে কলকাতা শহরের পিকে টেগর ঘাট ও মোদী ঘাট ভাঙ্গনের মুখে। নদী সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দিনই একটু একটু করে নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। গঙ্গার এই ঘাট গুলির সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই শেষ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রশাসন। গঙ্গার ঘাটে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বুধবার বেলা তিনটার সময় অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেছেন ফিরহাদ হাকিম।