মাত্র 14 বছর বয়সেই তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। 80 শতকের একজন জনপ্রিয় খ্যাতনামা অভিনেত্রী তিনি। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালায়ালাম সহ অনেক হিন্দি ছবি তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। অভিনেত্রীর বয়স এখন ষাটের কাছাকাছি হলেও তিনি দর্শকমহলে এখনো বিরাজ করে আছেন। জয়াপ্রদার বাবা এক সময় কালীন বিরাট মাপের প্রযোজক ছিলেন। অভিনেত্রী তিরিশ বছর অবিবাহিত অবস্থায় ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ছবি করেছেন।
প্রায় তিনশোর ও বেশি ছবি তিনি তার অভিনয় জীবনে করে গেছেন। এক সময় তিনি আয়কর সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ে প্রযোজক শ্রীকান্ত নাহাটা তাকে ওই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন। এবং সেই সময় থেকে তাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়। তারা একে অপরের প্রেমে আবদ্ধ হন এবং খুব শিগগিরই তারা বিয়ে করে ফেলেন। কিন্তু উপযোজক আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন এবং তিন সন্তানের পিতা ছিলেন তিনি। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অর্থাৎ তাকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি অভিনেত্রী জয়া প্রদা কে বিয়ে করেন। যেই কারণে অভিনেত্রী তার জীবনে বরাবর দ্বিতীয় স্ত্রীর জায়গাতেই থেকে গেছেন।
তিনি বিয়ের পরের রুপোলি পর্দা থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে আনেন এবং মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে চান। প্রযোজকের জীবনে অভিনেত্রী দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ার কারণে তার এই মাতৃত্বের ইচ্ছা কখনো পূর্ণ হল না। তাই জয়াপ্রদা তার বোনের ছেলেকে দত্তক নিয়েছিলেন। অভিনয় জীবন সম্পন্ন করার পর অভিনেত্রী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং লোকসভা ভোটের পূর্বে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।