উদ্ভিদবিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যায় অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। তিনি গাছের প্রাণ রয়েছে তা প্রমাণ করে সারা বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বেতার তরঙ্গ এবং ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ আবিষ্কার করে তিনি নিজের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। পরবর্তীকালের বিজ্ঞান চর্চায় পথিকৃৎ তিনি। নাম তার জগদীশচন্দ্র বসু।
আজ মঙ্গলবার, বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর 163 তম জন্মদিন। 1858 সালের 30 শে নভেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ছোট থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী ছাত্র। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। তারপর তিনি ভারতে ফিরে এসে বিজ্ঞান সাধনায় মনোনিবেশ করেন।
বিজ্ঞানসাধনার পাশাপাশি চলছিল অধ্যাপনা। এই সময় কালে তিনি একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন। গাছের প্রাণ রয়েছে তা প্রমাণ করেন। বিশ্বের প্রথম সফল বিজ্ঞানী হিসেবে বেতার তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম হন। তিনি মাইক্রোওয়েভ আবিষ্কার করেছিলেন। 100 বছর পর যে ক্ষুদ্র তরঙ্গের বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে আধুনিক বিজ্ঞানের নানা আকর্ষণীয় দিক উন্মোচন হয়েছিল তা তারই আবিষ্কার।
দেশে বিজ্ঞান চর্চার উন্নতির জন্য তিনি বসু বিজ্ঞান মন্দির স্থাপন করেছেন। বিজ্ঞানের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে সেখানে। তিনি চাইতেন নতুন প্রজন্ম যেন বিজ্ঞানের প্রতি অনুরাগী হয়। তাকে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃৎ বলা যেতে পারে। তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছিলেন। তারপরই বাংলা ভাষাতে বিজ্ঞান লেখার প্রতি আগ্রহী হন লেখকেরা।