সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাড়ির বাচ্চা কি জ্ব’রে ভু’গ’ছে? এই তিন ল’ক্ষ’ণ দেখলে অবহেলা করবেন না, দেখিয়ে নিন ডাক্তার

ভাইরাল ফিভারে বাচ্চাদের জীবন এখন ওষ্ঠাগত, তিনটি লক্ষনের ওপর ভিত্তি করেই, বাচ্চার চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন চিকিৎসকদের সাথে। গতবছর থেকেই করোনার প্রকোপ দেশের ওপর এক একটা ধাপ পেরিয়ে চলছে প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতসহ বিশ্বের অবস্থা নাজেহাল। এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউের প্রকোপ শুরু হবে অক্টোবর থেকে একথা বিশেষজ্ঞদের মতে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবং এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়বে বাচ্চাদের উপর।

যে ভাবে দিনের পর দিন বাচ্চাদের ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ বাড়ছে তাতে চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে চিকিৎসকরাও। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট এই সমস্ত লক্ষণ গুলি দেখা যাচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যে। অনেক বাচ্চার মৃত্যুও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে যা বিশেষ করে চিন্তায় ফেলেছে বাবা-মা এবং চিকিৎসকদের। জ্বর, সর্দি, কাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে ছোট ছোট বাচ্চারা এবং এর প্রভাবে সরাসরি আক্রান্ত হচ্ছে তাদের ফুসফুস ফলে তৈরি হচ্ছে শ্বাসকষ্ট।

এইরকম অবস্থাতে কি করে ছোট ছোট বাচ্চাদের সুস্থ রাখা যায় সেই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা কিছু টিপস দিয়েছেন, আসুন জেনে নিই সেই সমস্ত টিপসগুলি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিতা সাহা জানিয়েছেন, সর্দি-কাশিতে খুব তাড়াতাড়ি আক্রান্ত হয় ছোট ছোট বাচ্চারা। আবহাওয়াও খুব একটা ভালো নয় কখনো বৃষ্টি হচ্ছে তো কখনো রোদ, এর জন্য ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে ভীষণ ভাবে।

এই জোরে শ্বাসকষ্ট হলে ১ থেকে ২ বছর বাচ্চাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং যার জন্য পাঠানো হচ্ছে তাদের ভেন্টিলেশনে। ছয় মাসের কম বাচ্চারা বাদে অন্যান্য বাচ্চারা দুই দিন পর্যন্ত বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে অভিবাবকদের,এই সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এই জ্বরের তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে, নাক থেকে জল গড়াচ্ছে অনবরত সঙ্গে হাঁচি এবং কাশি, অনেক সময় বমি বমি ভাব লক্ষণ থাকছে এগুলি ভাইরাল ফ্লুয়ের উপসর্গ।

এবং নাক দিয়ে জল না পরা, ব্যথা বুকে, সর্দি জমে যাওয়া এই লক্ষণগুলি ব্যাকটোরিয়া নিমুনিয়ার। এতে দেহের তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি থাকে। এক থেকে দুই দিনের বেশি যদি বাচ্চাদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। প্রথমদিকে বাচ্চারা অসুস্থ হলে তাকে খুব লক্ষ্য রাখতে হবে বাবা-মাদের। শিশুটির যাতে আরাম হয় সেরকম ব্যবস্থাই করতে হবে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল দিতে হবে, স্যালাইন ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। নজরে রাখতে হবে যে বাচ্চারা হাঁপিয়ে যাচ্ছে কিনা, অক্সিমিটার প্রস্তুত রাখতে হবে প্রত্যেকটা বাড়িতে যাতে সময় অনুযায়ী তাদের অক্সিজেন লেভেল মাপা যায়।

কোন শিশুর যদি জ্বর হয় এবং সেটা দু তিনদিন পর্যন্ত থাকে তাহলে লক্ষ্য রাখতে হবে যে খাওয়ার পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিনা অথবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিনা, যদি এরকম কিছু লক্ষণ দেখা যায় তবে সাথে সাথে দেরি না করে সেই শিশুকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো দরকার।