বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আপৎকালীন বিভাগের ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন এখন থেকে মরশুমি ফ্লুয়ের মতোই রূপ নেবে কোভিড।তিনি বলেন,” আমার মতে আমরা সেই সমেয়র দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে আমরা কোভিড -১৯ কে দেখতে পারি কোনও মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার মত। কোভিডের মারণ ক্ষমতা আর আগের মতো নেই, গোটা সমাজকে এক নিমেষে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারবে না, তবে প্রাণ নাশের ক্ষমতা তার থাকবে।”
প্রসঙ্গত, আজ থেকে দুই বছর আগে এই মার্চ মাসেই ভারতে কোভিড বা করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন শুরু হয়। গত দুই বছর ধরেই দফায় দফায় চলেছিল এই লকডাউন। সরকারি পরিসংখ্যান হিসেবে, ভারতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন শুরুর পর প্রথম তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার সঙ্কুচিত হয়েছিল প্রায় ২৪ শতাংশ , যা ছিল দেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
শুধু ভারত নয়,সারা বিশ্ব জুড়েই উৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল, পরিবহন, আবাসনসহ অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক মন্দা দেখা গেছে। লকডাউনের কারনে অনেক দেশের অর্থনীতি প্রায় স্তব্ধ হয়ে থেকেছে কোভিড মহামারির সময়কালে – শুধু খাদ্যপণ্য,ওষুধ উৎপাদন এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া ওই সময়ে সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আরো খবর: কালীঘাটের কাকু-কে ত’ল’ব CBI-র, আ’ন’তে বলা হ’লো ব্যাংকের স’ম’স্ত নথিপত্র
অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ কোভিড নিয়ে বেশ কড়া অবস্থান নিতে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ঘেবরেসাস কোভিড ১৯ এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনীতিক, সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই মর্মে চিঠি দেন।
তার মতে -” কোভিডের উৎস খুঁজে বার করা রাষ্ট্রসংঘের একটি নৈতিক দায়িত্ব। এই ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে যে কটি ধারণা করা হয়েছে, তার সবকটিই খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কিকরে এই প্রাণনাশী ভাইরাসের উৎপত্তি তা খুঁজে বার করতেই হবে।”