আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার অনবদ্য সিনেমার কিছু দৃশ্য। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি, তার অভিনয় দক্ষতা প্রত্যেকটি সিনেমাতে সমানভাবে প্রকট। পিকু হোক অথবা ইংরেজি মিডিয়াম, লাইফ অফ পাই এর মতো সিনেমা হোক অথবা লাঞ্চ বক্স এর মতো সিনেমা, প্রত্যেকটি সিনেমাতে নিজের চরিত্রের সমানভাবে সাবলীল ছিলেন তিনি। চলতি বছরে বহু নক্ষত্রের সাথে সাথে ইরফান খান কে হারাতে হয়েছিল আমাদের। তবে মহামারী প্রাণ নেয়নি তার, তার প্রাণ নিয়েছিল কঠিন অসুখ ক্যান্সার। সময় বহিয়া যায় নদীর স্রোতের ন্যায়, দেখতে দেখতে কতগুলো দিন চলে গেল তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই। তার সিনেমা দেখলে মনে হয় যে তিনি কতটা জীবন্ত আমাদের মনের মধ্যে।
পরে মানুষের মূল্য হয়তো ততখানি, যতক্ষণ তিনি জীবিত থাকেন, নশ্বর দেহ ছেড়ে যখন না ফেরার দেশে চলে যায় সেই মানুষ তখন হয়তো তার মূল্য হয়তো একেবারেই থাকে না কারোর কাছে।প্রথম কিছুদিন তার স্মৃতি চারন করলেও ধীরে ধীরে সেই স্মৃতিতে ধুলো জমে যায়, যেমন ধুলো জমে গেছে অযত্নে ধাকা ইরফান খানের সমাধি।
Was missing irrfan since yesterday, beating myself for not having gone to his tomb for 4 months. Today i went ,there he was resting alone with no-one around with plants. In silence. I left him some Rajnigandha and took a piece of him back with his blessings. So long #IrrfanKhan pic.twitter.com/3xzoAS7zzZ
— Chandan Roy Sanyal (@IamRoySanyal) September 20, 2020
সম্প্রতি চন্দন রায় সান্যালের করা টুইটে একটি ছবি দেখলে যে কারো মনে কষ্ট হবে। তিনি সম্প্রতি গিয়েছিলেন ভার্সোভার মুসলিম কবরস্থানে। যেখানে সমাধিস্থ অবস্থায় রয়েছেন ইরফান খান। পাতলা ছবি দেখে বোঝা যায় যে কতখানি অযত্নে রয়েছে ইরফান খানের সমাধি।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। শুধু কিছু পাথর দিয়ে ঘিরে ছোট্ট ফলকে লেখা রয়েছে তার নাম। এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, মানুষের জীবন বোধহয় আর শেষ নিশ্বাস অব্দি সীমিত থাকে। তারপর হাজার চাইলেও মানুষদের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া যায় না। আবার বছর ঘুরতেই শুধুমাত্র মৃত্যুর দিন এবং জন্মদিন স্মরণ করা হবে তাকে। এটুকুই মূল্য থেকে যায় সকলের কাছে।