সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পৃ’থ’ক রাজ্যের দা’বি’তে এবার সু’র চ’ড়া’লে’ন শাসকদলেরই আদিবাসী নেতা! অ’স্ব’স্তি তৃণমূল শি’বি’রে

বাংলা ভাগের দাবি তুললেন তৃণমূলের এক নেতা। বাংলা ভেঙে গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবি তুলেছেন বংশীবদন বর্মন নামের এক দলীয় উপজাতি নেতা। তৃণমূলের এসটি-এসসি সেলের সাধারন সম্পাদক রাজেশ লাকরা ওরফে টাইগারও সেই দাবিকে সমর্থন করছেন। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের চারটি জেলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন এই আদিবাসী সংগঠনের নেতা। এই দাবিতে দলীয় নেতার সমর্থন থাকাতে অস্বস্তির মুখে তৃণমূল।

রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক অবশ্য বাংলা ভাবির এই দাবিকে সমর্থন জানাননি। তৃণমূলের এসটি-এসসি সেলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ লকরার দাবি, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে পঞ্চম তপশীলের আওতায় এনে স্বায়ত্তশাসন ঘোষণার দাবি নিয়েই তিনি গত বছর তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাগজে ৯০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করছেন ওই নেতা। সেটার সাংবিধানিক রূপ পেতে প্রয়োজন জেলার একটা এরিয়া ডিমারকেশনের। সাংবিধানিক স্বীকৃতি না পাওয়াতে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের। তাই এখন বংশী বদন বর্মন এবং রাজেশ লকরা সম্মিলিত ভাবে আদিবাসীদের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন।

স্বভাবতই এর থেকে প্রশ্ন ওঠে যে উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার যে দাবি রয়েছে, আদিবাসী নেতারা তাকেও সমর্থন জানাবেন কিনা। তবে তাতে অবশ্য সমর্থন জানাননি তৃণমূল নেতা। তার দাবি রাজনীতি করার জন্য এমনটা করছেন ওই বিজেপি নেতা। ভোটের জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। অপরপক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই এবং সাংবিধানিকভাবে তাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য তারা এই দাবি তুলেছেন বলে জানিয়েছেন।