সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ’ভী’র সমুদ্রে অভিযানে না’ম’তে চলেছে ভারতের অত্যাধুনিক সমুদ্রযান “মৎ’স্য ৬০০০”

মঙ্গল থেকে চাঁদ এদের রহস্য জানতে ভারতীয়দের আগ্রহের শেষ নেই। চাঁদ কিংবা মঙ্গলে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নানা প্রকার যান তৈরি করে ফেলেছে ভারত। কিন্তু মহাকাশের মতোই পাতালে যাওয়ার ভারী ইচ্ছে ভারতবাসীর। তবে ঠিক পাতালে নয় সমুদ্রের অতল তলে হারিয়ে যাওয়ার বাসনা রয়েছে ভারতীয়দের। গভীর সমুদ্রে রহস্য সন্ধানের জন্য ভারতের একটি বিশেষ অভিযান চালায়। যার পোশাকি নাম ভারতের সমুদ্র অভিযান। এই সমুদ্র অভিযানের জন্য তৈরি হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক জাহাজ।

জাহাজ নয়, বলা ভালো ডুবোজাহাজ। যার নাম মৎস্য ৬০০০। গভীর সমুদ্রে বিশেষ গবেষণা চালানোর জন্যই অভিনব প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই ডুবোজাহাজ। তবে এখনো এই ডুবো জাহাজের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এই ডুবো জাহাজে ডুবুরিদের জন্য থাকবে তিনটি উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পোশাক। যাতে যেকোনো বিপর্যয় মোকাবিলা বা জরুরী কালীন পরিস্থিতিতে ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত গভীর জলে থাকতে পারেন তারা। সমুদ্রের নিচে জীববৈচিত্র্য ভূ বিজ্ঞান সম্পর্কিত নানা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা চালাবেন তারা।

এছাড়া সমুদ্রের গভীরে গিয়ে খনন খনিজ সম্পদ আহরণ এবং সামুদ্রিক বিভিন্ন বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করবেন এই ডুবুরিরা। এই জাহাজের প্রাথমিক নকশা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং ডিআরডিও যৌথ প্রচেষ্টায় এই ডুবোজাহাজ তৈরির কাজ করছে। দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হবে এই জাহাজ জানিয়ে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কোন যন্ত্র নয় মানুষ চালাবে এই ডুবোজাহাজ।

আরো খবর: এবার থেকে নিক্কো পা’র্ক থেকে ইকো পা’র্ক ঘো’রা যাবে এক টিকিটেই, উ’প’হা’র বাবুলের

বিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসিয়ান টেকনোলজি এই জাহাজ তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। ৬০০০ মিটার গভীরে যেতে পারবে এই জাহাজ। তিনজন যাত্রী এই ডুবোজাহাজ নিয়ে পাড়ি দিতে পারবে রহস্য উন্মোচনে। প্রসঙ্গত পৃথিবীর ৭০ ভাগ জল বেষ্টিত। তার মধ্যে সিংহভাগ লবণাক্ত জলের সমুদ্র। এবার সেই জলের মাধ্যমেই অর্থনীতি ও ব্যবসার উন্নতিতে ভারত এক বিশেষ অবদান রাখতে চলেছে।

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানান ম্যাঙ্গানিজ গ্যাস হাইড্রেটস হাইড্রোর মত সম্পদ অনুসন্ধান এবং কোবাল্ট ক্রাস্ট খুঁজতে সহায়তা করবে এই সমুদ্র যান। ভারত সরকার এই অভিযানে পাঁচ বছরের জন্য বরাদ্দ করেছে ৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। ২০২১ অর্থ বর্ষ থেকে ২০২৬ এর মধ্যে এই ডুবো জাহাজ তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যেই প্রথম তিন বছর খরচ হবে তিন হাজার কোটি টাকা। আমেরিকার রাশিয়া জাপান ফ্রান্স চীনের মত স্বদেশীয় ডুবোজাহাজ তৈরি করে বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে ভারত।