সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আকাশে দে’খা মিললো গঙ্গোত্রীর, বি’র’ল দৃ’শ্য দেখে বি’স্মি’ত ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

আকাশগঙ্গা ছায়াপথে এবার দেখা মিলল সুদীর্ঘ সূক্ষ্ম গ্যাসীয় মেঘের। আকাশগঙ্গার মুকুটে পালকের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দুই বাহুকে সংযুক্ত করেছে এই গ্যাসীয় মেঘ। যার নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গোত্রী। মহাকাশে এমন বিরল দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণা পত্রে এই বিষয়ে জানা গিয়েছে।

ভারতীয় মহিলা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভি এস বীণা আকাশগঙ্গায় এই গঙ্গোত্রীর খোঁজ দিয়েছেন। গঙ্গার উৎস হিমবাহ গঙ্গোত্রীর মত তরঙ্গের ঢেউয়ের মতো আকৃতি এবং আশ্চর্য গঠনের কারণেই এর নাম রাখা হয়েছে গঙ্গোত্রী। ভারতীয় গবেষকেরা জানিয়েছেন এমন আশ্চর্য গঠনের আণবিক মেঘ ছায়াপথের বাহুকে সংযুক্ত রেখেছে।

এই গবেষণা পত্রের শীর্ষ লেখক হিসেবে ভারতীয় নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে আকাশ গঙ্গা বলা হয়। তাই গঙ্গার উৎস গঙ্গোত্রী হিমবাহের নাম অনুসারে তিনি এই আণবিক মেঘের নামকরণ যুক্তিসংগত বলে মনে করেছেন।

গবেষকদের মতে এই আণবিক মেঘ 90 লক্ষ নক্ষত্রের দীর্ঘ ঢেউয়ের সমান। এই তরঙ্গের গতিপথটি সহজ নয়, বেশ জটিল বলেই ধারনা গবেষকদের। আমেরিকান গবেষণা সংস্থা নাসা তথ্য অনুসারে এই বাহুগুলির মধ্যে প্রাচীন নক্ষত্রের পাশাপাশি অসংখ্য নবীন নক্ষত্র রয়েছে। আমাদের নক্ষত্র সূর্য এই দুই বাহু থেকে উদ্ভূত শাখা বাহু ওরিয়ন আর্মের মধ্যে অবস্থান করছেন।