প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “আত্মনির্ভর ভারত” এর স্বপ্ন সফল করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর এই মুহূর্তে বিশ্বমানের যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুত করছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে উৎপন্ন এই যুদ্ধাস্ত্র গুলিতে শত্রুকে টেক্কা দিতে কোনো অংশে খামতি নেই। ভারতে উৎপন্ন এই যুদ্ধাস্ত্র বিশ্বের সমক্ষে ভারতের নাম আরও উজ্জ্বল করছে, এমনটাই দাবি করছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভারতে উৎপাদিত ক্ষেপণাস্ত্র “আকাশ” সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যে একেবারে সফল।
সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মাটি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র “আকাশ” বিশ্ববাজারে রপ্তানি করার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৬ শতাংশ সরঞ্জাম ভারতেই তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ মাটি থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম “আকাশ”।
২০১৪ সালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়। এর পরের বছরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রভান্ডারের অন্তর্ভুক্ত হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র। এবার ২০২০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর আয়োজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে বিদেশে রপ্তানী করার অনুমোদন দেওয়া হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী, অ্যারো ইন্ডিয়ার প্রদর্শনের সময় বিশ্বের বহু দেশ ভারতের “আকাশ” ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল।
বিশ্ববাজারে “আকাশ” এর চাহিদা মাথায় রেখেই এই ক্ষেপণাস্ত্র অন্যান্য দেশে রপ্তানির অনুমোদন দিল কেন্দ্র। এর ফলে ভারতীয় নির্মাতারা বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে আয়োজিত আরএফআই, আরএফপিতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। উল্লেখ্য এতদিন বিশ্বের দ্বিতীয় আমদানিকারক দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল ভারত। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের “মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্প ভারতকে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবেও এগিয়ে নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।