প্রাচ্য হোক বা পাশ্চাত্য, প্রায় সব দেশেরই বারে সাধারণত মদ্যপান করা হয়ে থাকে। তবে জানেন কি এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে বারে মদ্যপান করা হয় না। বদলে সেখানকার মানুষ দুধ খেতে আসেন বারে। এমন একটি দেশের নাম হল আফ্রিকা। আফ্রিকার রুয়ান্ডাতে রয়েছে এমন একটি মিল্ক বার। সেখানে সাধারণ মানুষ আসেন দুধ খেতে।
রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে এমন একটি নয়, একাধিক মিল্ক বার রয়েছে। এখানে ট্যাপ খুললে বিয়ার কিংবা অ্যালকোহল পাওয়া যায় না। তার বদলে দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি পানীয় পাওয়া যায়। কিগালির অধিবাসীরা নিয়মিত এই বারে যাতায়াত করেন। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে একসঙ্গে বসে দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি পানীয় পান করেন তারা। সেখানে কেক, রুটি কলা জাতীয় স্ন্যাকস সহযোগে দুধ পান করার রেওয়াজ আছে।
এখানে দুধের নানারকম ভাগ আছে। দই এর মত গাঢ় দুধ হলে সেই পানীয়ের নাম রাখা হয়েছে ‘ইকিভুগুট্টো’। এটি এই অঞ্চলের বিশেষ জনপ্রিয় পানীয়। ঠান্ডা গরম সব ধরনের দুধের ব্যবস্থা আছে গ্রাহকের জন্য। বিগত প্রায় এক দশক ধরে সরকারি তৎপরতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন মিল্ক বার খোলা হয়েছে। যে কারণে রুয়ান্ডাতে এখন গরু হয়ে উঠেছে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস।
উল্লেখ্য, কয়েক দশক আগে সেখানে গণহত্যায় প্রায় আট লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই রাখাল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এমন গনহত্যার কারণে গোটা দেশ তখন অপুষ্টির সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করে। তখন সরকারের তরফ থেকে এমন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির রুয়ান্ডাতে একটি গ্রামে 200 টি গরু দান করেছেন। বেশ কিছু বিদেশী সংস্থাও রুয়ান্ডার সরকারকে সাহায্য করেছিল। যে কারণে রুয়ান্ডাতে আজ গরু হয়ে উঠেছে গ্রামীণ অর্থনীতির এক অন্যতম সোপান।