সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মহা’ল’য়া’র অ’মা’ব’স্যা’তে মা’য়ে’র চক্ষু’দান আ’দি কংস’ব’ণি’ক দুর্গা বা’ড়ি ম’ন্দি’রে

মহালয়ার অমাবস্যাতে মায়ের চক্ষুদান আদি কংসবণিক দুর্গা বাড়ি মন্দিরে

মালদা,২৫ সেপ্টেম্বর : রীতি মেনে মহালয়ার অমাবস্যাতে মায়ের চক্ষুদান। প্রায় ৩০০ বছর ধরে মহালয়ার অমাবস্যাতে মায়ের চক্ষুদান হয়ে আসছে আদি কংসবণিক দুর্গা বাড়ি মন্দিরে। আকাশে বাতাসে এখন আগমনী সুর। আকাশের সাদা মেঘ আর কাশফুলের দোলা জানান দিচ্ছে পুজোর আর দেরি নেই। রবিবার মহালয়ার অমাবশ্যায় মালদা শহরের দুর্গাবাড়ি এলাকায় আদি কংস বণিক দূর্গা মন্দিরে নিয়ম রীতি মেনে মায়ের চক্ষুদান করেন মৃ্ৎশিল্পী।

আদি কংসবণিক সম্প্রদায়ের এক সদস্য নব কুমার মন্ডল বলেন, পুরনো প্রথা মেনে মহালয়ার অমাবস্যাতে দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। প্রায় ৩০০ বছর আগে সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধা মহানন্দা নদীতে স্নান করতে গিয়ে একটি পাথরচক্র কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। প্রথমে সেই পাথর চক্রটি নদীর ধারেই রেখে দেন তিনি। পরে স্বপ্ন দেশে চন্ডী রূপে সেই পাথরচক্রের পূজা শুরু হয়। তৎকালীন জমিদার গিরিজানন্দ দাস দূর্গা পূজার আয়োজন করেন। পরবর্তীতে সেই পূজা কংসবণিক সম্প্রদায়ের হাতে হস্তান্তর করেন জমিদার গিরীজানন্দ।

সময়ের সাথে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু কিন্তু আজও বদলাইনি আদি কংসবণিক সম্প্রদায়ের দুর্গা বাড়ির পূজার নিয়ম আচার।
মহালয়ার অমাবস্যাতে মায়ের চক্ষুদান হওয়ার পর নতুন বস্ত্র দিয়ে সেই প্রতিমা ঢেকে দেওয়া হয়। ষষ্ঠীর আগে সেই প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন না কেউ। নিয়ম রয়েছে ষষ্ঠীর দিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের দর্শন করবেন আদি কংসবণিক সম্প্রদায়ের সদস্যরা। আজও সেই পরম্পরা, ধরে রেখেছেন তারা।