সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মা’ঝ আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের পাইলট হৃ’দ’রো’গে আ’ক্রা’ন্ত! বিমান যেভাবে না’ম’লো মাটিতে

বিভিন্ন কারণে বিমান দুর্ঘটনার কথা আমরা হামেশাই শুনে থাকি। অনেক সময় বিমানের মধ্যেই পাইলটের অসুস্থতার জেরে ঘটে গিয়েছে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঠিক তেমনই কিছু দুর্ঘটনার কথা শুনলেই শরীরের রক্ত হয়ে যাবে হিম। জানেন কি কি বিমান বিপত্তির ঘটনা ঘটেছে? ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মাঝ আকাশে বিমান ওড়ার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন পাইলট। মাসকাট থেকে ঢাকায় ফিরছিল বিমানটি। ওই বিমানে ১২৬ জন যাত্রী ছিলেন।

যদিও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকেই বেঁচে যান যাত্রীরা।জরুরী ওই বিমান অবতরণ করানো হয় মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে। পাইলটকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। ছত্তিশগরের রায়পুরের কাছাকাছি থাকার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাইলট। সেই সময় জরুরী বিমানটিকে অবতরণ করবার সিদ্ধান্ত নেন তার সহ পাইলট।

অসুস্থতার খবরে যোগাযোগ করা হয়েছিল কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকেই নির্দেশ আসে নাগপুরে বিমানটি অবতরণের। তাই জরুরী ভিত্তিতে নাগপুরে নামানো হয় বিমানটি। এর ফলে বেঁচে যায় অসংখ্য যাত্রীর প্রাণ। তবে এক্ষেত্রে সহ পাইলট এবং বিমানের অন্যান্য ক্রু সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ওই যাত্রীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি পাইলটের। ঠিক এমন ঘটনার আরও উদাহরণ রয়েছে। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার একটি বিমানে এমন ঘটনা ঘটে।

আরো খবর: মনে মনে ডি’ভো’র্স হওয়ার ভ’য়! বহুদিনের প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সেরেও স’ম্প’র্ক ছে’দ করলেন নুসরত

মস্কো থেকে আনাপার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এরোপ্লট বিমান। মাটি থেকে তেত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার সময় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয় বিমানের পাইলট। প্লেটোভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটি। যদিও নিরাপদেই বিমানটি নামে। অসুস্থ পাইলটকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

যদিও বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি বিমানে ওঠার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলেও কোন অসুস্থতা ধরা পড়েনি পাইলটের। এমনকি রিপোর্ট সব ঠিকঠাক ছিল। এই ঘটনার পরেই শুরু হয় তদন্ত। সেই তদন্তে উঠে আসে হৃদরোগেই আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাইলটের। শুধুমাত্র বিমান নয় গাড়ি বা জাহাজ চালানোর সময় এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

আসলে বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক। যার মাধ্যমে হঠাৎ হৃদপিন্ডের উপর চাপ পড়ায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েন চালক বা পাইলট। যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে মৃত্যু। কিন্তু যাদের হাতে থাকে কয়েকশো মানুষের জীবন মরণের ভাগ্য। তারা যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে টলে যেতে পারে বিমান যাত্রীদের বিশ্বাস।