সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নিউজিল্যান্ডে স্বেচ্ছামৃ’ত্যু আ’ই’ন’সি’দ্ধ, রয়েছে শ’র্তা’ব’লী

এখন বিশ্বের অনেক দেশেই স্বেচ্ছামৃত্যু আইন সিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত কলম্বিয়া, কানাডা অস্ট্রেলিয়া, স্পেন এদের ল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড এর মত দেশে নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু অনেক আগেই বৈধ করা হয়েছিল। এই সমস্ত দেশে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে। এবার নিউজিল্যান্ডেও এই একই ধরনের শর্তগুলো সামনে রেখে ইউথেনেশিয়া আইন ঘোষণা করে দেওয়া হলো আজ। শুধুমাত্র সেই সমস্ত মানুষ যারা কোন মরণ রোগে ভয়ানকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ইচ্ছাই মারা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থাৎ এমন একটি রোগ যা পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে আপনার জীবন শেষ করে দেবে, তেমন কোনো রোগী যদি আপনি জর্জরিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারেন।

এর পাশাপাশি এই পদ্ধতির জন্য কমপক্ষে দুইজন ডাক্তারের সম্মতি বাধ্যতামূলক। এই আইনটি বাস্তবায়ন করার জন্য নিউজিল্যান্ডে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে ৬৫ শতাংশের মানুষ এই আইনের পক্ষে ভোট দান করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিউজিল্যান্ডে বিতর্ক চলছিল কিন্তু অবশেষে আজ এই আইন পাস করা হয়েছে নিউজিল্যান্ড শহরে।

কিছুটা শুনতে লাগল এটা মানুষের কাছে একটু স্বস্তির খবর। এমন অনেক রোগ আছে যা থেকে মানুষ কোনদিন বের হতে পারবেন না। তার থেকে মৃত্যুবরণ করা অনেক ভালো। নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা ৬১ বছরের এক ব্যক্তি প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন। এই ক্যান্সার কোনভাবেই নিরাময় যোগ্য নয়। মৃত্যুকামনা করে তিল তিল কষ্ট না পেয়ে একেবারে মৃত্যু বরণ করে নেওয়া অনেক ভালো। তবে নিউজিল্যান্ডের অনেক মানুষ এই আইনের বিরোধিতা করে বলেছেন, এই আইন মানুষের জীবন এবং মূল্যবোধের প্রতি সমাজের সম্মানকে দুর্বল করে দেবে। এটি দুর্বল ব্যক্তিদের প্রতি যত্ন অনেক বেশি কমিয়ে দেবে এবং বিশেষ করে যারা প্রতিবন্ধী তারা নিজের জীবন আগে শেষ করে দেবে।

পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ এই আইন কে সমর্থন করেছেন তারা বলেছেন, একজন মানুষের অধিকার আছে সে কখন এবং কিভাবে মরতে চায়। এমতাবস্থায় এই আইন তাদের মর্যাদা সঙ্গে মৃত্যুবরণ করার অধিকার দেয়। বিদেশ থেকে এই মামলা বিশ্লেষণ করানোর পর নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্র বলেছেন, প্রতিবছর ৯৫০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আসলে কতজন আবেদন করবেন সে বিষয়ে এখনো কোনো অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে এই কাজের জন্য চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।