সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“আমি PMO-র অফিসার”, গো’টা প্রশাসনকে বো’কা বা’নি’য়ে Z+ নি’রা’প’ত্তা নিয়ে কাশ্মীর ঘু’রে বে’ড়া’লো জালিয়াত

নিজেকে পি এম ও অফিসার বলে দাবি করেছে সে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যিটা সামনে এলো। কিরণ ভাই প্যাটেল নামে এক ব্যাক্তি নিজেকে পি এম ও আধিকারিক হিসেবে দাবি করে । সে নিজেকে স্ট্র্যাটেজি এন্ড ক্যাম্পেন বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে পরিচয় দেন। এমনকি সে নিজে কাশ্মীরে গিয়ে আধিকারিকদের সাথে বৈঠক পর্যন্ত করেন।

তবে সত্যি আর চাপা থাকল কই। গত ১০ দিন আগেই কিরন ভাই প্যাটেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এতদিন এই বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট কিরণ ভাই প্যাটেলকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর পর।

এবার ব্যাপার হল তার বিষয়ে এফ আই আর করা হয়েছিল কিনা, সেটার ধোয়াশা রয়েছে। তার মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার পরেই তাকে একেবারে Z+ সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছিল। তার সাথে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী ছিল, সাথে মহিন্দ্রা স্করপিও এস ইউ ভি গাড়িও দেওয়া হয়েছিল। ৫ তারা হোটেলে রাখাও হয়েছিল তাকে। কিরণ ভাই প্যাটেলের টুইটার একাউন্ট ভেরিফায়েড, সেখানে রয়েছে হাজারের বেশী ফলোয়ার।

আরো খবর: রামলালা-কে কবে রামমন্দিরে প্র’তি’ষ্ঠা করা হবে? দিনক্ষণ জা’না গেল

এর থেকেও বড় কথা হল গুজরাটের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সিং তাকে ফলোও করে। তার যে তুইটার হ্যান্ডেল রয়েছে সেখানে বায়ো তে লেখা রয়েছে যে, সে ভার্জিনিয়ার কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি থেকে পি এইচ ডি করা, আই আই এম ত্রিচি থেকে এম বি এ ও কম্পিউটার সায়ান্সে এমটেক ও বিই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেছে।

নিজেকে একজন চিন্তাবিদ, কৌশলবিদ ও বিশ্লেষক হিসেবে দাবি করেছে। তবে তার এই জালিয়াতি বুঝতে পেরে তাকে সেই হোটেল থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে জালিয়াতি বুঝতে না পারায় দুইজন পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়।