সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শীত-রাত উ’পে’ক্ষা ক’রে’ই ক’রো’না রোগী’দের বা’ড়ি বা’ড়ি খা’বা’র পৌঁ’ছে দি’চ্ছে পু’লি’শ

শীত-রাত উপেক্ষা করেই করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ

তীব্র শীত অন্ধকার রাত কে উপেক্ষা করে এলাকার করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। সারাদিনের প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলে করোনা রোগীদের বাড়ির দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। পুলিশের মানবিক রূপের এমনই ছবি ধরা পরল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন করোনা রোগীদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবে রাজ্য। সেই নির্দেশকে কার্যকর করতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আধিকারিকদের মধ্যে দেখা গেল তৎপরতা। স্বয়ং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে খাবারের প্যাকেট হাতে ছুটে যাচ্ছেন করোনা রোগীদের বাড়িতে। পৌঁছে দিচ্ছেন সারাদিনের খাবার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে এলাকার করোনা রোগীদের তালিকা সংগ্রহ করছে পুলিশ। তারপরই থানার আধিকারিকরা দলে ভাগ হয়ে খাবার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে। খোঁজ নিচ্ছেন শরীর স্বাস্থ্যের। যতদিন না সুস্থ হচ্ছেন ততদিন বাড়ির দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দেবেন হরিশ্চন্দ্রপুরের পুলিশ কর্মীরা এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন তারা। করোনায় বাড়িতে আটকে থেকে পুলিশের কাছ থেকে এ রকম পরিষেবা পেয়ে আপ্লুত এলাকার করোনা রোগীরা। তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ কর্মীদের।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এলাকার করোনা রোগীদের সম্পর্কে স্থানীয় ব্লক এবং হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। সেই তথ্য নিয়ে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হলে সমাজ ঘৃণার চোখে যেন না দেখে, এটা যেন না হয় এই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এর মাধ্যমে এলাকার আশেপাশে বাড়ি বাড়িতে গিয়ে। গত তিনদিন ধরে এই কর্মসূচি চলছে আমাদের। যতদিন উনারা সুস্থ না হয় ততদিন আমাদের এই পরিষেবা চলবে।

এদিকে বাড়িতে খাবারের পরিষেবা পেয়ে আপ্লুত এলাকার করোনা রোগীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর রামরায় এলাকার একজন রোগী জানালেন আজ রাতে হটাৎ থানার বড়বাবুরা এসেছিলেন খাবার হাতে। খাবার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার শরীরের খোঁজ-খবর নিলেন। আমি এখন আগের থেকে অনেকটা সুস্থ। তবে ভালো লাগছে এলাকার পুলিশ প্রশাসন করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে দেখে।

পুলিশের এই ভিন্ন রূপ দেখে অবাক হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাবাসী। এর আগেও মহাবারি ছাড়া অন্যান্য সময়ে হরিশ্চন্দ্রপুর বাসীর পুলিশের মানবিক রূপ প্রত্যক্ষ করেছে।করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে জেরবার সারা রাজ্য। আর এরই মধ্যে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের এই যৌথ উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে এলাকায়।