দিনের-পর-দিন মাদকচক্রের কারবার যেন আরও বিস্তার লাভ করেছে গোটা দেশের আনাচে-কানাচে, মাদকদ্রব্য কাণ্ডে এখন বলিউডের একাধিক নামিদামি ব্যক্তিদের নাম উঠে আসছে। গত শনিবার মাদকদ্রব্যের পার্টি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে। শাহরুখপুত্র আরিয়ান সহ আরও দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে ইনসিবি। ১৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে শাহরুখপুত্র আরিয়ান স্বীকার করেন, মাদকদ্রব্য সেবন করার কথা।
সোমবার আদালতে পেশ করা হয় আরিয়ানকে। আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আরিয়ানের জামিনের জন্য যথাযথ চেষ্টা করে যান। আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে বলিউডের একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তি সঞ্জয় দত্ত, সালমান খান সহ রিয়া চক্রবর্তীর জন্য আদালতে লড়েছেন। শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে জামিন দেওয়ার জন্য আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের অদ্ভুত যুক্তি কোন কাজেই লাগেনি।
আইনজীবীর সতীশ মানশিন্ড দাবি করেন, “কোন রকম মাদকচক্রের সঙ্গে আরিয়ান জড়িত নয় এবং পূর্বের কোন ক্রিমিনাল রেকর্ডেও তার কোন নাম নেই এমসিবি যখন আরিয়ানকে আটক করে সেইসময় কোনরকম পালানোর চেষ্টা সে করেনি বরং জিজ্ঞাসাবাদের সময় যথেষ্ট ধৈর্য ধরে সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে”।
যডিও এনসিবি দাবি করে আরিয়ানের ফোন ঘেটে মাদকচক্র জনিত নানান তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো রকম যোগসুত্র আছে কিনা এখন সেটাই তদন্ত করার বিষয়ে। এনসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরিয়ানকে ওই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সেই বিষয়েই স্বীকার করেছে আরিয়ান। ওই পার্টিতে প্রবেশ মূল্য ১ লক্ষ টাকা শুধুমাত্র আরিয়ান ভিভিআইপি তালিকায় রয়েছে বলে তাকে ওই টাকা দিতে হয়নি।
এনসিবি প্রশ্ন তোলে, কারা আরিয়ানকে ওই পার্টিতে আমন্ত্রণ করেছিল,কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরে আরিয়ানের আইনজীবী জানান, “কে বা কারা আরিয়ানকে ডেকে ছিল সেটা জানার অধিকার এনসিবির নেই। যদি আরিয়ান চায় তাহলে গোটা জাহাজ কিনতে পারে, তার দিন চালানোর জন্য মাদক দ্রব্য বিক্রি করার দরকার নেই”। যদিও এই রকম একটি যুক্তি আদালতে কোনই কাজে আসেনি। আরিয়ানকে বর্তমানে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে হবে এনসিবির হেফাজতে।