সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শরীরে এইসব ল’ক্ষ’ণ দেখা দি’লে সাবধান হয়ে যান এখনই, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আ’ক্রা’ন্ত হ’তে পারেন আপনিও

প্রি-ডায়াবিটিস (Prediabetes) হল বর্ডার লাইন ডায়াবিটিস। এটি হল এমন একটি পরিস্থিতি, যখন রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে না, তবু আপনাকে Diabetic Patient হিসেবে বিবেচিত করা হয় না। অর্থাৎ সহজ কথায় Diabetes-এ আক্রান্ত হওয়ার একেবারে আগের স্টেজ হল বর্ডার লাইন Diabetes। এই সময় যদি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলে নিয়ে আসা না যায়, তাহলে আগামী সময়ে টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ঠিক সময়ে ট্রিটমেন্ট শুরু না হলে প্রি-ডায়াবিটিস থেকে টাইপ-২ ডায়াবিটিস-সহ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, এমনকী কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। তাই তো আপনার আগামী দিনকে আরও সরক্ষিত করতে প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা একান্ত প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়, সেগুলি হল

1.ক্লান্তি বেড়ে যাবে: Prediabetes হলে শরীরে ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরে উপস্থিত শর্করা এনার্জিতে রূপান্তরিত হওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। ফলে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে ক্লান্তি বোধ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়।

2.জল তেষ্টা বেড়ে যাবে: রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে জল পিপাসার পরিমাণও খুব বেড়ে যাবে। তাই খেয়াল রাখাটা জরুরি। তাই যদি লক্ষ্য করেন, দিনে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় জল খাচ্ছেন, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এমনটা করলে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

3.বারংবার প্রস্রাব: অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেরে গেলে এমন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। শুধু তাই নয় এক্ষেত্রে প্রস্রাবের পরিমাণও বেড়ে যায়।

4.দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া: মনে হচ্ছে দৃষ্টিশক্তি যেন কেমন কমে আসছে। তাহলে সাবধান হন। কারণ বর্ডার লাইন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অনেক সময়ই চোখের ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। আর যদি ঠিক সময়ে সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা না যায়, তাহলে এক সময়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি একেবারে কমে যওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

5.মুখ গহ্বরে সংক্রমণ: Prediabetes-এ আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে মুখের ভিতরে ঘর বেঁধে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফলতে অনেক সমই শরীর সক্ষম হয় না।