সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোনো স্ত্রী যদি মঙ্গলসূত্র খু’লে রাখেন তবে তিনি কেমন মহিলা? ডি’ভো’র্স মা’ম’লা’য় ব’ড়ো রায় আদালতের

মাদ্রাজ হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, কোনো দম্পতি একসঙ্গে না থাকলেও কোনো স্ত্রী গলা থেকে মঙ্গলসূত্র খুলে ফেললে তা স্বামীর প্রতি চরমতম মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয় বহন করে। আর সেই কারণেই আদালত ওই দম্পতির ডিভোর্স মঞ্জুর করেছে।

জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম সি শিবকুমার, তিনি মেডিকেল কলেজের প্রফেসর। মঙ্গলসূত্র খোলা প্রসঙ্গে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন যে তাদের সেপারেশনের সময় তিনি তা খুলে রেখেছিলেন। যদিও থালি বা মঙ্গল লকেটটি তাঁর কাছেই আছে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু চেনটি তিনি খুলে ফেলেছেন।

আদালতে তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, যেহেতু হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে মঙ্গলসূত্র বাঁধা বাধ্যতামূলক নয়, তাই সেটি যদি কেউ খুলে ফেলেন তাতে বৈবাহিক জীবনে তার কোনো প্রভাব পড়ে না। অন্যদিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে ওই মহিলা লকেটটি ব্যাঙ্কের লকারে রেখে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: বড়ো আ’বি’ষ্কা’র তিন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের, এবার ম’দ্য’পা’ন করে গাড়িতে বসলে স্টার্ট হ’বে না!

তবে এটা বলা যায় যে কোনও হিন্দু মহিলার তাঁর স্বামীর জীবিত থাকাকালীন মঙ্গলসূত্র খোলা উচিত নয়। বিচারপতি ভিএম ভেলুমানি, এস সৌনথরের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিবাহিত জীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হল মঙ্গলসূত্র। স্বামীর জীবিত থাকাকালীন তা পরে থাকাই শ্রেয়। একমাত্র স্বামীর মৃত্যু হলে এটি খুলে ফেলা হয়।

আর স্বামীর জীবিতাবস্থায় এটা খুলে ফেলে মাধ্যমে ওই মহিলা মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছেন এবং স্বামীর ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর মহিলার এহেন সিদ্ধান্তের একটাই অভিপ্রায় হল এই যে বৈবাহিক সূত্রকে পুনরায় জোড়া লাগানোর কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই।

স্ত্রী এর বক্তব্য অনুসারে তাদের ডিভোর্সের মূল কারণ ই হল তার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। যা কার্যত নাকচ করেছে আদালত। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁরা সেপারেশনে আছেন। এছাড়া স্ত্রীর সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টার কোনো রেকর্ডও পাওয়া যায় নি।

বরং ডিভোর্সের আগেই তিনি যেসব কাজ করেছেন তাতে তার মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয় পাওয়া গেছে। আর এরপরই পারিবারিক আদালতের রায়কে নাকচ করে ডিভোর্সের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে আদালতের তরফে।