যেভাবে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, সেখানে এবারে কৃষ্ণকলি ধারাবাহিক খ্যাত তিয়াসা রায়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা উঠেছে তুঙ্গে। তিয়াসা রায় এবং তার স্বামীর সঙ্গে নাকি বনিবনা হচ্ছে না, এমন জল্পনায় ভেসে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কি বললেন সুবান রায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন কৃষ্ণকলি খ্যাত তিয়াসা রায়ের স্বামী সুবান রায়।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, একই পেশায় থাকা সত্ত্বেও স্বামীর থেকে স্ত্রীর বেশি উপার্জন করছেন বলে তাদের মধ্যে নাকি মতপার্থক্য শুরু হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত কথা কে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে তিয়াসার স্বামী জানিয়েছেন যে, দুজনেই যেহেতু অভিনয় জগতের সঙ্গে জড়িত, তাই দু’জনকেই ব্যস্ত থাকতে হয় ভীষণভাবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা একে অপরকে ভালোবাসি না।
তিয়াসা স্বামী আরও জানিয়েছেন, ওর সাথে সেই ভাবে সংসার ধর্ম পালন করা হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তিয়াসা কাজের জন্য টালিগঞ্জ আমার সঙ্গে থাকতে শুরু করে। সেই ভাবে গুছিয়ে সংসার করা হয়নি আমাদের। অনেক সময় এমন হয়েছে, এক ছাদের তলায় থাকা সত্ত্বেও আমরা একে অপরের মুখ দেখতে পাইনি। অনেক সময় আমি হয়তো কাজে বের হতাম তখন ও বাড়ি ফিরতো।
সমালোচকদের প্রতি উত্তর দিতে গিয়ে সুবান জানিয়েছেন, আমি নিয়মে থাকতে পছন্দ করি। যেটা যে সময়ে করা উচিত সেটাই আমি করতে পছন্দ করি। কখনো কখনো তিয়াসা আমার কথায় রাজি হয় না। এদিকে অনেকেই হয়তো ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখতে পারে। আমার সামনে কেউ খারাপ কথা বললে আমি প্রতিবাদ করি। আমি যথেষ্ট প্রতিবাদী ছেলে এবং অনেকেই এটিকে ডমিনেটিং আখ্যা দিয়ে থাকে।
নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিয়াসার স্বামী জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই শুনতে পাই যে আমাদের নাকি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে অনেকবার ঝগড়া হয়েছে। অনেকেই এমন ভাবে কথাটি রটিয়ে দেয় যেন কারো সঙ্গে কারোর ঝগড়া হয় না। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে অনেক কথা শুনতে পাচ্ছি।
একদমই এই সমস্ত খবর শুনতে ভালো লাগেনা। বারবার বিবাহবিচ্ছেদ শুনতে শুনতে কখন দেখবেন আমাদের সত্যি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বাইরের লোকেদের জন্য আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, এমন ভয় আমি সব সময় পাই। তাই দয়া করে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন এবং নিজে বাচুন এবং অন্যকে বাঁচতে দিন।