তিনি উত্তম কুমারের নাতবৌ, টলিউড অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় তার স্বামী। তিনি নিজেও একজন নৃত্যশিল্পী। তার অবশ্য আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তার বাবা দেবাশিস কুমার রাসবিহারীর তৃণমূল বিধায়ক। অবশ্য রাজনীতি নিয়ে দেবলিনাকে সেভাবে কোনদিনও সরব হতে দেখা যায়নি। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাবার হয়ে ভোটের প্রচার চালাতে গিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
তবে বাবারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারনে জীবনে বহুবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে দেবলিনাকে। অনেকেই মনে করেন যে বললে তার জীবনে যা কিছু অর্জন করেছেন সব কিছুই তার বাবার সুবাদে। শিক্ষাগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনে তিনি এতদিন যা কিছু অর্জন করেছেন, সব ক্ষেত্রেই চরম সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে দেবলিনাকে।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনাকারীদের একহাত নিলেন দেবলিনা। সম্প্রতি তার ফেসবুক একাউন্টে ‘ব্লুটিক’ এসেছে। এর অর্থ একাউন্টটি ভেরিফায়েড। অনেক মানুষ এই অ্যাকাউন্টটিকে ফলো করেন এবং এখান থেকে ভুল তথ্য শেয়ার করা হয় না। এই শুভ সংবাদটি একটু অন্যরকমভাবেই দিলেন দেবলিনা। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ হয়তো ভাববেন একাউন্ট ভেরিফায়েড আমার বাবাই করে দিয়েছে, এতে তাদের জ্বলন্ত হৃদয় শান্তি পাবে’।
তিনি আরো লিখেছেন,‘আমার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন আমার জন্যই হয়েছে। কেউ আমার জন্য করে দেয় নি। তাই আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি’। প্রসঙ্গত দেবলিনা দিল্লি বোর্ডের পরীক্ষায় সাইকোলজিতে সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন। সমালোচনাকারীরা এও বলেছেন যে এই স্থান তিনি তার বাবার জন্যই পেয়েছেন। পরবর্তী দিনে তিনি যা কিছু করেছেন, সবকিছুর পেছনেই তার বাবার হাত ছিল বলেও শুনতে হয়েছে তাকে।