সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যারা কুকর্মের স’ঙ্গে জ’ড়ি’ত তাদের ভালোবাসি না, দলীয় নেতাকর্মীদের স’ত’র্ক করলেন মমতা

এবার মমতা ব্যানার্জীর কড়া বার্তা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে। তৃতীয়বারের জন্য বঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এবারের দুর্নীতি যেন অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই বেশী। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কিছু সামনে এসেছে যা তদন্ত করছে সিবি আই। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে বারবার বিভিন্ন মামলা নিয়েই সিবি আইকেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তদন্ত করার।

সম্প্রতি সিবি আই দফতরের যে কয়েকটি মামলা জমা পড়েছে তাঁর মধ্যে ততকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিজার প্যালেসে হাজিরা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগে সরকারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বাম ও বিজেপি রাস্তায় নেমেছে।

আসলে অনেক জল্পনা কল্পনার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় যিনি ততকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি সিবি আই এর মুখোমুখি হলেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিবি আই দফতরে হাজিরা দেন তিনি। তাঁর ঠিক আগেই মমতা ব্যানার্জী পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে মুখ খোলেন নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে।

আরো পড়ুন: শে’ষ হচ্ছে দাদাগিরি, কবে অ’ন্তি’ম সম্প্রচার হ’বে টিভিতে?

তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যারা কিনা কুকর্ম করেন তাঁদের মানুষ চিহ্নিত করে। তাঁদের মানুষ ভালোবাসে না। আমিও তাঁদের ভালোবাসি না। এতদিন গড়হাজিরা দিতে থাকলেও গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বাধ্য করে দেয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবি আই দফতরে যাওয়ার জন্য।

যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। তবে মমতা ব্যানার্জী আরও জানায়, দলের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে সবাই নয়। পরিমাণে ০.১% হবে। তারা অনেকটা হরিণের মতো ভাবে যে মুখটা লুকিয়ে রেখেছি মানেই আমাকে কেউ দেখতে পারছে না। আমার শরীর কেউ দেখতে পারছে না। কিন্তু আসলে যে তাঁদের পুরো শরীরটাই বাইরে সেটা তারা বোঝে না।

তাই মুখ লুকিয়ে লাভ নেই। তবে এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি জানায়, ইয়ে তো স্রেফ ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশি বাকি হ্যায়। তাঁর কথার অর্থ এটাই খেলা এখনও বাকি। তিনি বলেন সবে তো দুজন মন্ত্রী , টেটের ফাইল খোলা হোক পুরো মন্ত্রী সভাই উঠে আসবে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেই বলেছেন তিনি, দিদিমণি কালীঘাট থেকে কাদের নামের তালিকা পাঠিয়েছে, ভাইপো কত বড় লিস্ট পাঠিয়েছে সবটা বলুন। এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও জানিয়েছেন, একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। কে কে জড়িত এই কান্ডে সেই সাজা ঘোষণাই বাকি রয়েছে। এদিকে আবার শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী তাঁর নিজের মেয়ের নাম তালিকার বাইরে থাকা সত্ত্বেও চাকরি দিয়েছেন। সেই দুর্নীতি এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর উচিৎ সমস্ত বিষয়টিকে খোলসা করে বলা।