ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্য। আগামী ৪-৫ দিন উত্তরবঙ্গ জুড়ে বাড়ি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে, কিছু কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যেই তার প্রভাব শুরু হয়ে গেছে চারিপাশে, কেবলমাত্র ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টির কথা নয়, এর সাথে ৪০-৫০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা, দুই দিনাজপুর সর্বত্র ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সাথে চলবে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উত্তরবঙ্গে একদিনের এই ঝোড়ো হাওয়ার তান্ডবে। আগামী দিনে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
তবে দক্ষিণবঙ্গের কথা যদি বলা যায়, তাহলে তেমন একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই সেখানে। তবে কিছু কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক এই কারণেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে অনেকটাই । বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, দুই ২৪ পরগণা জেলায় চলবে হালকা মাঝারী বৃষ্টি।
আরো পড়ুন: পরেশ অধিকারীকে শেষ সু’যো’গ, CBI দপ্তরে হাজিরার সময় বেঁ’ধে দি’লো হাইকোর্ট
তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব হাওয়ার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প ঢুকে উত্তর-পূর্ব বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। অশনি সংকেত নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট তেমন একটা না পরলেও দক্ষিণবঙ্গ বাসীকে দাবদাহে থেকে রক্ষা করেছে।
তাই আগামী দিনে গরম থেকে কিছুটা রেহাই দক্ষিণবঙ্গ বাসীর। বর্তমান সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে ঠিকই, তার কারণে ব্যবসা গরম অনুভব হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তবে তাও যেন সেই দিনগুলোর থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি। এবছর বর্ষা একটু সময়ের আগেই প্রবেশ করবে বঙ্গে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে সেটা অনেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই কথামতোই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব এই দ্বীপপুঞ্জ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
যার কারণেই তুমুল ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে, আগামীতেও তার সম্ভাবনা রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সেই বর্ষা কিন্তু বঙ্গের দিকে অগ্রসর হবে, তাই বঙ্গবাসীকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর।