সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ওষুধ ছাড়াই মি’ট’বে অর্শের স’ম’স্যা, খে’তে হ’বে এই ৫ টি খাবার

বর্তমানে একটি অতি পরিচিত শারীরিক সমস্যা হল পাইলস অথবা অর্শ। যার কারণে মানুষ জেরবার হয়ে ওঠে। চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী লোকেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন ঠিকই, তবে এখন অল্পবয়সীরাও অধিক মাত্রায় এই রোগের শিকার।

পাইলসের কারণে মলদ্বারের ভেতরের এবং বাইরের শিরাগুলি ফুলে ওঠে এবং শরীর থেকে মল নিঃসরণের সময় রক্তপাত হয় এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। পাইলস মাঝে মধ্যে এমনই গুরুতর হয়ে ওঠে যে এই সময় গাফিলতি না করে সত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, প্রয়োজনে সার্জারিও হতে পারে।

তবে প্রথম দিকে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন করে দেখতে পারেন, অনেক ক্ষেত্রে তা ঠিক হয়ে যায়। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক অর্শ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য প্রত্যহ কি ধরণের খাবার খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুন: R D BURMAN বেনামে আমাকে ফুল পাঠাতেন, আমি ফেলে দি’তে বলেছিলাম: আশা ভোঁসলে

জল – দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি বড় কারণ হল ডিহাইড্রেশন। খাবার খাওয়ার পর তা পাকস্থলী থেকে বৃহদন্ত্রে যায় এবং সেখানে বর্জ্য পদার্থ তৈরী হয়। তাই শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব থাকলে বৃহদন্ত্র মলকে শক্ত এবং শুষ্ক করে তোলে।

যার কারণে তা শরীর থেকে বের হওয়ার সময় সমস্যা তৈরি করে। তাই ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যহ দিন ৩ লিটার জল অবশ্যই পান করা উচিত, তবেই মসৃণভাবে শরীর থেকে মলত্যাগ হবে। সুতরাং পাইলসের চিকিৎসার জন্য জল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

ভুসি – ইসবগুলের ভুসি পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ভুসিতে যে ফাইবার থাকে তা মলকে নরম ও ভারী করে দেয়, যার ফলে খুব সহজেই মল ত্যাগ করা যায়। ভুসি বদহজমের সমস্যা মেটাতেও ভীষণভাবে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ১-২ চামচ ভুসি খালি পেটে বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে জলে গুলে খেলে পাইলসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর হয়ে যায়।

রুটি – রাতে অনেকেই ভাত খেতে পছন্দ করেন। তবে পাইলস রোগীদের রাতে ভাত খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ ভাতে ফাইবারের তুলনায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। রুটিতে থাকা ফাইবার মল নরম করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন রাতে যদি আপনি আটার রুটি খান তাহলে পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন।

ওটস – প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ওটস ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ওটসে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় ফাইবার থাকার জন্য তা মলকে শুষ্ক হতে দেয় না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে মাঝে মাঝে ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে অর্শ রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

ফল, শাকসবজি – টাটকা ফল, মূল, শাকসবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ফল এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল, পুষ্টি, ফাইবার ইত্যাদি উপকারী উপাদান। এগুলি পাইলসের কারণে হওয়া রক্তপাত এবং ফোলা ভাবকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অর্শের চিকিৎসার জন্য টাটকা ফল, মূল ও শাকসবজির জুরি মেলা ভার।