সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চাকরি তো দি’তে পারলেন না, টা’কা ফেরত দিন, তৃণমূল নেতার পা ধ’রে কান্নাকাটি

সম্প্রতি এসএসসিকে কেন্দ্র করে একাধিক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বহু জায়গা থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে। সম্প্রতি এই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে বীরভূমের থেকে। এই অভিযোগের এক দৃশ্য ফুটে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

দেখা যাচ্ছে যে প্রকাশ্য রাস্তায় এক তৃণমূল নেতার পা ধরে কান্নাকাটি করছেন এক ব্যাক্তি,এবং বলছেন চাকরি হয়নি তাই টাকাটা যেন তাকে ফেরত দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি বীরভূমের শান্তিনিকেতনের থানা এলাকায়, যদিও ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওই নেতা। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দাবি করে জানানো হয়েছে যে, বীরভূমে এই ধরনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।

খবর সূত্রে জানা গেছে বীরভূমের ইলামবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা আশিস সিংহ তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা রতন মন্ডলকে তিনি ২০১২ সালে তার মেয়ের প্রাইমারি স্কুলে চাকরির জন্য নয় লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই চাকরি এখনো পর্যন্ত তার মেয়ে পাইনি।

আরো পড়ুন: বিগ ব্রেকিং: অঙ্কিতার চাকরি এবার ববিতার, স’ঙ্গে পাবেন মন্ত্রীকন্যার পু’রো বেতন

এরপর এই ১০ বছর পর সেই নয় লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতা রতন মন্ডল এর বাড়ি উপস্থিত হন আশিস সিংহ। চাপের মুখে পড়ে তিনি প্রায় ৭.৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে ১.২০ হাজার টাকা যেটা ইতিমধ্যেই তিনি দিতে চাইছেন না।

আশিষ বাবু শুক্রবার সকালে প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূল নেতার পা ধরে টাকা পাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করেন। আশিষ বাবু জানান, রতন মন্ডল তার মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেবে এ কথাই বলেছিলেন যার জন্য তিনি প্রায় সমস্ত কিছুই বিক্রি করে নয় লক্ষ টাকা জোগাড় করে মেয়ের চাকরি হওয়ার জন্য রতন মন্ডলকে সেই টাকা দিয়েছিলেন।

বহুদিন ধরে চেয়ে চেয়ে ইতিমধ্যেই ৭.৮০ হাজার টাকা তিনি ফেরত পেয়েছেন কিন্তু আর বাকি ১.২০ হাজার টাকা এখনো পর্যন্ত ফেরত দিচ্ছেন না ওই তৃণমূল নেতা। এই বিষয়ে নানুরের তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, যে তিনি কোন টাকা নেননি, তিনি যে টাকা নিয়েছেন সেটি ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। আর বাদবাকি টাকা আশিস বাবু কাকে দিয়েছেন সেটা তার জানা নেই।

এই গোটা বিষয়ে বীরভূম জেলার বিজেপি সম্পাদক জানিয়েছেন, “যে এখন উচিত প্রত্যেকটা জেলাতে আলাদা আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হচ্ছে সেটার বিষয়ে তদন্ত করা।

বিভিন্ন মানুষের থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন প্রাথমিক চাকরি দেওয়ার নাম করে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকজনকে চাকরি হয়েছে। বীরভূমে এইভাবে চাকরি হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার জনের।”