কেজিএফ ছবিটির পার্ট ওয়ান দেখার পর থেকেই সকল দর্শকদের মনে ইচ্ছা জেগেছিল, কেজিএফের সেকেন্ড পার্ট দেখার এবং তখন গোটা ভারতবর্ষের সমস্ত দর্শকদের মনে একটাই প্রশ্ন উঠেছিল, কবে আবার মুক্তি পাবে কেজিএফের দ্বিতীয় পার্ট। অবশেষে সেই সমস্ত দর্শকদের জন্য এলো নতুন সুখবর, কারণ এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার ইয়াশ।
তার জন্মদিনে কেজিএফের দ্বিতীয় পর্বের ট্রেইলারটি মুক্তি পেল। দ্বিতীয় পর্বে ইয়াশের সাথে রয়েছে রবীনা ট্যান্ডন এবং সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতারা, যার ফলে কেজিএফের দ্বিতীয় পর্বটি হতে চলেছে আরও আকর্ষণীয়। ট্রেইলার দেখে বোঝা গেছে যথেষ্ট হেভিওয়েট হতে চলেছে কেজিএফের দ্বিতীয় পার্টটি। বোঝাই যাচ্ছে যে, যথেষ্ট পরিমান বক্সঅফিস এবার কাঁপাতে চলেছে এই পর্বটি।
কেজিএফের দ্বিতীয় অধ্যায়টি পরিচালনা করছেন প্রশান্ত নিল এবং প্রযোজনায় রয়েছে ও হম্বল ফিল্মস। কেজিএফের চ্যাপ্টার টু ট্রেলার বেরোনোর পর পরই ভিউজ হয়ে গেছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, এখন সমস্ত জায়গা জুড়ে চলছে একটাই নাম এবং সেটা হল ইয়াশে কেজিএফ চ্যাপটার টু। কিন্তু এই ছবিটি করার আগে পর্যন্ত ইয়াশ ছিল একটা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে, ইয়াশের বাবা বাস চালাত, সব থেকে বড় কথা হল ইয়াশ এখন এত বড় একজন তারকা হওয়ার পরেও তার বাবা এখনো পর্যন্ত তার কাজ অর্থাৎ বাস চালিয়ে যান।
ইয়াশের আসল নাম হল নবীনকুমার গৌড়। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি যথেষ্ট সাফল্য পেয়ে গেছেন ইয়াশ ১৯৮৬ সালের ৪ ই জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন কর্নাটকের হাসান পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিলো। অভিনেতা পড়াশোনা পড়াশোনা তেমন একটা ভাল লাগত না, কিন্তু যেহেতু প্রত্যেকটি পরিবারের ছেলেমেয়েদের বড় করে তোলার জন্য পড়াশোনা একটি বিশেষ দরকারি অঙ্গ, তাই বাবার কথার জন্য সে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে।
পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর ইয়াশ ব্যাঙ্গালুরুতে পৌঁছে, সেখানে একটা থিয়েটার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। কর্ণাটক ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু ছবি ইয়াশ করেছিলেন এবং কেজিএফ চ্যাপটার ওয়ান মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে এবং যার পরেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে যায় সকলের কাছে। সূত্রে জানা গেছে যে ইয়াশ ইন্ডাস্ট্রিতে যখন প্রবেশ করেছিল সেই সময় তার পকেটে মাত্র ৩০০ টাকা ছিল। যে ব্যক্তি একদিন ৩০০ টাকা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিল, সে আজ সিনেমা করছে ৩০০ কোটি টাকার বাজেটের। ইয়াশ সবসময় প্রত্যেকটি সিনেমারই মুখ্য চরিত্র করেন। একেকটি ছবির জন্য তিনি টাকা নেন ১৫ থেকে ১৬ কোটি ।